প্রশ্ন: কবে থেকে সঙ্গীতচর্চা করছেন?
অন্বেষা: প্রথমে গিটার শেখা শুরু করেছি। তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। পাঁচ বছরের পরীক্ষা দিয়ে তার পর গান শেখা আরম্ভ হয়। রূপক ভট্টাচার্য আমার গুরু। এর পরেই ভাল লাগা তৈরি হয় লোকগানের প্রতি। বাউলের আখরায় গিয়ে গিয়ে গান শোনা এবং শেখা শুরু করি।
advertisement
প্রশ্ন: পরিবারের তরফে কোনও রকম আপত্তি রয়েছে আপনার সাধনা ঘিরে?
অন্বেষা: প্রবল! অনেক বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই যে আমি কাজে বেরোই রোজ, আমার মা-বাবা ভাবতেন আমি নেচে পয়সা রোজগার করি।
প্রশ্ন: বাউলসঙ্গে গিয়ে কী রকম ব্যবহার পেয়েছেন?
অন্বেষা: বাউলের আখরাতেই আমার আবেগগুলো প্রথম ঠিক মতো মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারি। সাহস পাই।
প্রশ্ন: কোথায় কোথায় শো করেছেন আজ পর্যন্ত? তার মধ্যে সবথেকে ভাল এবং খারাপ অভিজ্ঞতা কী?
অন্বেষা: মূলত আমি কলকাতাতেই শো করেছি। আগে কিছু শো পেতাম, কিন্তু পরের দিকে সেসব বন্ধ হয়ে যায়, অথবা কমে যেতে থাকে। টাকা রোজগারের জন্য হিন্দি গানের সঙ্গে নাচ করতে হয়েছে বিহারে। সেখানে বেশ কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো আজ আর মনে করতে চাই না।
আরও পড়ুন: শীতের রাতে কালনার রাস্তায় গান, মহীনের তাপসের চিকিৎসার খরচ তুলতে শিল্পীদের প্রয়াস
প্রশ্ন: আপনার জীবনযুদ্ধে কোন পর্যায়টি সবথেকে সুন্দর?
অন্বেষা: আমি যখন যেটা করেছি, তখন সেটাই আমার কাছে সুন্দর মনে হয়েছে। আমি আসলে যোগ্য থেকে দক্ষ হওয়ার লড়াই লড়ে যাচ্ছি প্রতিটা দিন।
প্রশ্ন: সুপার সিঙ্গারে এসে কেমন লাগছে?
অন্বেষা: অপূর্ব অভিজ্ঞতা! সকলের ব্যবহারে মুগ্ধ। সবথেকে ভাল লেগেছে আজ পর্যন্ত কেউ টাকা চায়নি আমার কাছে। আমার ধারনা ছিল, রিয়ালিটি শো-তে লোকে টাকা নেয়। সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে এখানে এসে।
আরও পড়ুন: রওনা হওয়ার সময়ে গাড়ি পর্যন্ত ছাড়তে এলেন অরিজিৎ, আমার তো হাত পা অবশ! বললেন ইমন
প্রশ্ন: গানের জগতে খ্যাতি তো সময়সাপেক্ষ, সাধনার পাশাপাশি টাকার জন্য আর কোনও চাকরিতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন?
অন্বেষা: হ্যাঁ, চাকরি তো করেছি। বেশ কিছুদিন কল সেন্টারে কাজ করেছি। তার পর ম্যান পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাজে যোগ দিয়েছিলাম। শেষে বিজনেস কনসালট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছি।