সৃজিতের কথায়, ''রাজ বা ওর ছবি 'হাবজি গাবজি' নিয়ে আমার কোনও সমস্যাই নেই। অনেকে সে রকমই বুঝছেন বলে ফেসবুক লাইভে এলাম। আমি চাই, ওর এবং আমার, দুজনের ছবিই প্রেক্ষাগৃহে চলুক। নিজের নিজের বিষয়বস্তু নিয়ে, নিজের নিজের রেটিং নেই। দুটোতে কোনও বিরোধ নেই।'' সৃজিতের কেবল এইটুকুই প্রশ্ন, দুটি ছবির আবেদন করা হয়েছিল। কেবল একটিকে কেন বেছে নেওয়া হল? তার কারণ কি সৃজিতের ছবিটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ('এ' রেটেড)? বাদ পড়ার কারণ না জানতে পেরেই অভিমান হয়েছিল 'অটোগ্রাফ'-এর পরিচালকের।
advertisement
সৃজিত জানালেন, স্টার থিয়েটারে এই ছবিটি দেখানো হচ্ছে না তার কারণ, ছবিটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। এ ছাড়া কলকাতার আরও কয়েকটি সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহে না দেখানোর কারণ হলমালিকদের সঙ্গে প্রযোজকদের সুসম্পর্কের অভাব। কিন্তু সেই কারণগুলি তাঁকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। আর নন্দন কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও কারণই জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: নন্দনে রাজের 'হাবজি গাবজি', ঠাঁই পেলো না সৃজিতের 'X=প্রেম'! ফেসবুকে দুই পরিচালকের পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
কিন্তু রাজের সম্ভবত অভিমান হয়েছে বলে তাঁর ধারণা। তবে দুই পরিচালকের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। সৃজিত বললেন, ''নন্দন কর্তৃপক্ষকে ফোন করার পরেই আমি রাজকে ফোন করেছি। ও জানিয়েছে যে ওর কাছে কারণ স্পষ্ট নয়। এবং রাজ এতই উদারমনস্কের মানুষ যে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে বলে, ''নন্দন থেকে আমার ছবিটা তুলে নিচ্ছি। তোর ছবিটা চলুক।'' কিন্তু অবশ্যই আমি রাজি হইনি। কারণ আমি তো চাই যে দুটি ছবিই চলুক। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হোক। রাজের এই ছবিতে পরমব্রত (চট্টোপাধ্যায়) এবং শুভশ্রী (গঙ্গোপাাধ্যায়) দুজনেই অভিনয় করেছে। সবাই আমার খুব প্রিয় মানুষ। আমি কেবল চেয়েছিলাম, 'এক্স ইক্যুয়ালস টু প্রেম' ছবিটা কলেজপড়ুয়ারা নন্দনে গিয়ে দেখুক. তাঁদের জন্যই ছবিচা বানানো। সবাই তো আর মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে ছবি দেখতে পারে না।''
আরও পড়ুন: "আমার অনুষ্ঠানের ধরণ আর রূপঙ্কের ধরণ এক নয়! অনুমতি ছাড়া নাম জড়ান কেন?" প্রতিবাদে রূপম ইসলাম