জানা গিয়েছে, গত ২২ অগাস্ট, শুক্রবার সোহিনীর পরিবার চিকিৎসককে জানান সন্তান নড়াচড়া করছে না। তখনই তিনি রোগীকে দ্রুত তাঁর কাছে আনতে বলেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় সোহিনীর রক্তচাপ অত্যধিক বেশি ছিল। আল্ট্রাসাউন্ড করানোর নির্দেশ দেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট সেই সময় একেবারে স্বাভাবিক। এরপর রোগীকে মিলেনিয়াম নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে তখন ফিটাল হার্টবিট পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে ডা. দাস আরও এক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন, যিনি একই রিপোর্ট দিয়েছিলেন।
advertisement
তারপরেও পরিবারের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এমনকি নার্সিংহোম ও চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর ও হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কমেন্ট ও ট্রোলে বিধ্বস্ত হন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, আমাকে খুনি, মাতাল, নরপিশাচ বলা হচ্ছে। অথচ আমি মদ বা ধূমপান কিছুই করি না। এতে পরিবার এমনকি আমার অধীনে যারা চিকিৎসাধীন, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সেই সময় রোগীর (সোহিনী গাঙ্গুলী) শারীরিক অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নিই, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মা’কে বাঁচানো সম্ভব, তবে সন্তানের মৃত্যু এড়ানো যায়নি।
সেই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ যেখানে চিকিৎসকের সমালোচনায় মত্ত, সেখানে আবার বহু মা যাঁরা এই চিকিৎসকের সাহায্যে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, তাঁরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, সন্তানের মৃত্যু দুঃখজনক হলেও, অন্তত মাকে বাঁচাতে পেরেছেন ডাক্তারবাবু, এটিও তো অনেক। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরে চিকিৎসকের পাশে থাকছেন বহু মানুষ। এমনকি একসময় এআইএমএস-এ সুনামের সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসা চিকিৎসক এসএন দাসের কাঁচরাপাড়ার মতো এলাকায় এভাবে পরিষেবা দেওয়ার এই স্বীকৃতি বলেও জানাচ্ছেন এলাকার বহু মানুষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, অন্যদিকে তাঁর প্রতি সমর্থন দু’পক্ষের সওয়ালে এখন রীতিমতো উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।