কৈলাস খেরের টুইট,
২০১৬ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে জনপ্রিয় গায়ক শান জানিয়েছিলেন, মায়ের কারণেই গানের জগতের সঙ্গে তাঁর এই সখ্যতা এবং মায়ের জন্যই সঙ্গীতকেই পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহসও পেয়েছেন তিনি। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন শান। শান এবং তাঁর বোনকে একা হাতেই মানুষ করেছিলেন মা সোনালী। “১৯৮৬ সালে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বোন সাগরিকা এবং আমাকে একাই বড় করেছিলেন মা। তখন আমার বয়স মাত্র ১৪। মা ১৯৭০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত নিজেও চলচ্চিত্রের গানে চুটিয়ে কোরাস গেয়েছেন,” জানিয়েছিলেন শান।
আরও পড়ুন- কানে আগুন ! খালি গলায় 'সাজন' ছবির গান গাইছেন টুইঙ্কল খান্না! ভাইরাল ভিডিও
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, শান (Shaan's Mother Dies)যখন অল্প অল্প করে জনপ্রিয় হতে শুরু করেন, তখন নিজের এই কোরাস গানের কাজ থেকে ছুটি নিতে চেয়েছিলেন তাঁর মা। তাঁর মনে হয়েছিল, কোথাও হয়তো এই কাজ শানকে বিব্রত করতেও পারে। বলা বাহুল্য, মাকে নিয়ে গর্বের অন্ত ছিল না সুযোগ্য পুত্রর।
শান এবং পরিবারের সকলের সঙ্গেই গতবছরের মার্চ মাসে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন সোনালি(Shaan's Mother Dies)। সেই সময়ে, মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে শান লিখেছিলেন, “আজ আমার মায়ের জন্মদিন!!! ভেবেই আনন্দ হচ্ছে যে মা সুস্থ আছেন এবং শান্তিতে আছেন!!!”
আরও পড়ুন- ‘গিরগিট’-এর হাত ধরে বলিউডে পা বাপ্পার, থ্রিলার ছবি বানাচ্ছেন পরিচালক
বলিউডের একের পর এক সুপারহিট গানে নিজের শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছেন শান(Shaan's Mother Dies)। চাঁদ সিফারিশ, মুসু মুসু, কুছ তো হুয়া হ্যায় এবং জব সে তেরে নয়না সহ বহু বহু বিখ্যাত গানের এই শিল্পী নিজে ৯০-এর দশকের শেষদিকে কয়েকটি অ্যালবামও প্রকাশ করেছিলেন। শুধু বলিউড নয়, নিজের মাতৃভাষা বাংলা সহ শান অসমিয়া, তেলগু, কন্নড়, তামিল এবং মালয়ালম ভাষাতেও গান গেয়েছেন।