কেকে-র চলে যাওয়ার তিন দিন পর শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলেনের আয়োজন করে বিবৃতি পাঠ করেন রূপঙ্কর। যেখানে তিনি প্রথমেই কেকে-র পরিবারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি পাঠ করেন, ''বিগত কয়েদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার যে ভিডিওটি ভাইরাল সেটি আমি ডিলিট করলাম। কেকে আজ যেখানেই থাকুন ঈশ্বর যেন ওঁকে শান্তিতে রাখেন।''
তার পরেই এই কঠিন সময়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ''আমার সঙ্গীতজীবনে এরকম বিভীষিকার মুখোমুখি আমাকে হতে হবে, ওড়িশায় বসে তৈরি করা একটি ভিডিও এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যা আমার গোটা পরিবারকে এমন অবস্থায় ফেলে দেবে, আমি ভাবিনি।''
advertisement
সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই রূপঙ্কর বলেন, ''একইসঙ্গে তাই আরও কিছু সমযোদ্ধার নাম করেছিলাম, যাঁদের ট্যালেন্ট আমার মতে, জাতীয় পর্যায়ের। পরে মনে হয়েছে, নামগলো বলার আগে জিজ্ঞাসা করে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আবারও বলি, এককভাবে ইস্যুটাকে দেখিনি আমি। কেকে-র মতো ভারতবিখ্যাত পারফর্মারের নামটা নিছক প্রতীক ছিল। নিছক উপলক্ষ্য। লক্ষ্য কখনও তিনি ছিলেন না। থাকার প্রশ্নও নেই।''
আরও পড়ুন: কেকের পরিবারের কাছে নিঃশর্ত দুঃখপ্রকাশ! অশ্রুবিহ্বল চোখে রূপঙ্করের সাংবাদিক সম্মেলন
প্রসঙ্গত এখন ডিলিট করা সেই ভিডিওয় রূপঙ্কর ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, সোমলতা আচার্য, রূপম ইসলামের নাম করে বলেছিলেন, ''হু ইজ কেকে ম্যান? আমরা সবাই কেকে-র থেকে অনেক বেশি ভাল গান গাই। কিন্তু আমাদের নিয়ে তাহলে আপনারা কেন এমন উত্তেজনা বোধ করেন না বলুন তো।'' কিন্তু ইমন তাঁর সঙ্গে সহমত নন বলে জানিয়েছিলেন দুদিন আগে। তাঁর মতে, রূপঙ্করকে যে ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু তাঁর নাম নিয়ে রূপঙ্কর যা বলেছিলেন, তা মানেন না তিনি। তাঁদের নাম নেওয়ার আগে এক বার তাঁর অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: ব্যাগ চেকিং, চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স, নজরুল মঞ্চে অনুপমের অনুষ্ঠানে কী কী থাকছে
রূপঙ্কর আরও জানিয়েছেন, তাঁর কেকের প্রতি কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ নেই। তাঁর কথায়, "আমি শুধু কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ করে বলতে চেয়েছিলাম বাঙালি গায়কদের জন্যও আপনারা এরকম দরদ দেখান।''