গত চার-পাঁচ বছরে বদলে গিয়েছে গোটা পৃথিবী। করোনায় কোটি কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তার ওপর লকডাউন। সবকিছু বন্ধ। সে সব দিনের কথা উঠে আসে শাহরুখের কথায়, ‘গত চার-পাঁচ বছরে আমি এবং আমার পরিবার এক অসহ্য সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। কোভিডের কারণে আপনাদের অনেকেরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার বেশিরভাগ সিনেমাই ফ্লপ করেছে। বিশ্লেষকরা বলতে শুরু করে, ‘আমি শেষ’। কিছু নির্বোধও একই কথা বলেছে। বিশ্লেষক আর নির্বোধ আসলে একই জিনিস’।
advertisement
এ দিন কিছুটা উদাসীনও ছিলেন শাহরুখ। পুরনো দিনের কথা বলার সময় যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন সেই সময়টা, ‘ব্যক্তিগত জীবনেও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। আমি এ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শিখেছি, শান্ত থাকতে হয়, খুব শান্ত। শুধু পরিশ্রম করে যাও। আপনার যখন মনে হবে, সব ঠিক আছে, সব কিছু ঠিকঠাক চলছে, তখনই কোথাও থেকে আঘাত আসবে’।
আরও পড়ুন: এবার বিয়ের পিঁড়িতে রশ্মিকা-বিজয়! কবে সারছেন বাগদান? প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ
তবে তিনিও বাজিগর। হেরে গিয়েও কীভাবে জয় হাসিল করতে হয় শাহরুখ জানেন। নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে দর্শকদের যেন সেই পাঠই দিলেন বাদশা। বললেন, ‘কঠিন সময়ে কখনও আশা হারাতে নেই। আপনি যা করছেন সেটাই করে যান। মনে করুন, এটা একটা বাজে প্লট। এটা একটা বাজে টুইস্ট। এক সময় কেটে যাবে। এটা গল্পের শেষ নয়’। এরপরই শোনান সেই বিখ্যাত সংলাপ, ‘লাইফ মে ফিল্মোঁ কি তরাহ, অন্ত মে, দুঃখ ঠিক হো জাতা হ্যায়। অউর আগর ঠিক না হো, তো অন্ত নেহি হ্যায়। পিকচার অভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত’।
‘ইন্ডিয়ান অফ দ্য ইয়ার ২০২৩’ পুরস্কারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শাহরুখ। ধন্যবাদ জানান সিএনএন নিউজ ১৮-কে। বাদশা বলেন, ‘এরকম পুরস্কার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। মনে হয় আশা হারানো উচিত নয়। সৎ থাকা উচিত। চুপচাপ পরিশ্রম করে যাওয়ার সাহস যোগায় এই পুরস্কার’।