গত ৮ জানুয়ারি রাখি সাওয়ান্তের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন দিনদোশি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শ্রীকান্ত ওয়াই ভোঁসলে। এর বিস্তারিত নির্দেশ মিলেছে শুক্রবার। রাখির প্রাক্তন স্বামী আদিল খান দুরানির অভিযোগের ভিত্তিতে আম্বোলি থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দুরানির অভিযোগ, তাঁর সম্মানহানির জন্য তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও রাখি একাধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফাঁস করে দিয়েছেন।
advertisement
আইনজীবী আলি কাশিফ খান দেশমুখের মাধ্যমে পেশ করা রাখির প্রাক-গ্রেফতার জামিন আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, রাখির বিরুদ্ধে এই এফআইআর করার একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। আর সেটি হল ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা। আসলে এই এফআইআর শুধুমাত্র আইনের অপব্যবহার মাত্র। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তবে আদালত জানিয়েছে যে, অভিনেত্রীর দ্বারা প্রচারিত বা প্রকাশিত বিষয়টি শুধু অশ্লীল নয়, তা যৌনতাপূর্ণও বটে। এখানেই শেষ নয়, আদালত আরও জানিয়েছে যে, ঘটনার তথ্য, অভিযোগ এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগাম জামিন দেওয়ার মতো উপযুক্ত মামলা নয়।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে, দীর্ঘ সময় ধরে আদিল খান দুরানি এবং রাখি সাওয়ান্তের মধ্যে বেশ সমস্যা চলছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিগ বস তারকা রাখি আদিল খান দুরানির বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তৎকালীন স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যা করার ভয় দেখানো এমনকী একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগও এনেছিলেন অভিনেত্রী। রাখির অভিযোগের ভিত্তিতে আদিলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। এরপরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এরপর অগাস্টে জেলের বাইরে এসে আদিল এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। রাখির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যদি তাঁর কোনও ক্ষতি হয়, এর জন্য দায়ী থাকবেন শুধু রাখিই।