তবে প্রসেনজিতেরProsenjit Chatterjee) অভিনয়ের খোলস বদলে দেন পরিচালক ঋতুপর্ণ সেনগুপ্ত। তিনি যে শুধু, 'দাঁত চিবিয়ে, মা', বলে কসম খেয়ে মারপিট করেন তা নয়। তিনি অভিনয় দক্ষতায় সেরার সেরা। তবে প্রসেনজিতের ৯০-এর দশকের বাংলা ছবি নিয়ে অনেক সময় নানা মজা করা হয়। কখনও দেখা যায় মীরের কমেডি শোতে এসে কেউ নকল করছে বুম্বাদার সংলাপ। আবার কখনও রচনার শোতে গিয়ে বুম্বাদাকে হুবহু নকল করে দেখাচ্ছে কেউ। তবে এই সব দেখে দারুণ মজা পান প্রসেনজিৎ নিজেও। তবে নিজের এই সময়কার অভিনয় নিয়ে তাঁকে কখনও কিছু বলতে দেখা যায়নি। কারণ ওই সময়টায় ওই চড়া দাগের অভিনয় মানুষ বেশি পছন্দ করেছে।
advertisement
তবে যুগের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে সিনেমা ও অভিনয়ের আনাচ-কানাচ। প্রসেনজিৎওProsenjit Chatterjee) নিজেকে নানাভাবে বদলেছেন বার বার। আর এখানেই তিনি সফল এবং সকলের থেকে আলাদা। কিছুদিন আগেই বুম্বাদা একটা সমস্যায় পড়েছিলেন। বাড়িতে গেস্ট বসে আছে। অনলাইনে খাবার অর্ডার করেছেন তিনি। কিন্তু বহু সময় পর সেই খাবার সার্ভিস কোম্পানি জানায় তারা ডেলিভারি দিতে পারবে না। ব্যস যাবে কোথায়, সোজা নামি ব্যক্তিদের ট্যাগ করে ট্যুইটারে অভিযোগ করে বসেন প্রসেনজিৎ। তারপর ক্ষমা চাওয়া, ট্যুইটারে মিম শেয়ার থেকে নানা কিছু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের বয়স ২২ বছর ! ভালবাসার সংসার! স্বামীকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
এবার নিজেরProsenjit Chatterjee) জীবনে ঘটে যাওয়া এই বিষয়টা নিয়েই মজার একটি বিজ্ঞাপন শ্যুট করেছেন প্রসেনজিৎ। একটি বিস্কুট, কেক তৈরির কোম্পানির বিজ্ঞাপন। সামনেই বড়দিন। এই দিন সকলে কেক খায়। কিন্তু আবারও বুম্বাদার কাছে কেক আসেনি। এবার কী হবে। একেবারে ৯০-এর দশকের সিনেমার স্টাইলে দাঁত কামড়ে মাকে ফোনে বলছেন তিনি, "মা, আমি কেক পায়নি মা, বিশ্বাস করো এখনো ডেলিভারি হয়নি মা, এখনো ডেলিভারি হয়নি।" বলতে বলতে রেগে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ট্যুইটারে শেয়ার হচ্ছে 'বুম্বাদা ইজ হাঙ্গরি।" 'বুম্বাদা কেক পায়নি।" এসবের মধ্যেই বেল বাজে এবং তাঁর গায়ে পড়ে প্রচুর কেক। এই হল বিজ্ঞাপন। কিন্তু মজার বিষয় হল, গোটা বিষয়টাকে দারুণ মজার ছলে তুলে ধরেছেন প্রসেনজিৎ। নিজেই নিজের ৯০-এর দশকের অভিনয়ের নকল করেন। আর ডেলিভারি না পাওয়া নিয়ে নিজেই এমন মজা করতে পারেন। তা এই বিজ্ঞাপন না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। ট্যুইটারে, ফেসবুকে ফের ট্রেন্ডিং এই বিজ্ঞাপন।
