ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রিন্সিপ্যাল ফাদার ডমিনিক সাভিও, তথ্য-প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, এফএফআই-এর সভাপতি ফিরদৌসুল হোসেন-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
advertisement
ড. দেবলীনা কুমারের সরস্বতীবন্দনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে কনক্লেভের সূচনা হয়। এরপর সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রিন্সিপ্যাল ফাদার ডমিনিক সাভিওকে দেওয়া হয় এফএফআই অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। তাঁর হাতে উত্তরীয় ও শংসাপত্র তুলে দেন বাবুল সুপ্রিয়, সুজিত বসু এবং ফিরদৌসুল হোসেন।
ফাদার ডমিনিক বলেন, “এই পুরস্কার সেন্ট জেভিয়ার্সের সমস্ত জেসুইট পাদ্রী এবং কর্মচারীদের উৎসর্গ করলাম। যাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গোটা জীবন দিয়ে দিয়েছেন। আমরা কলকাতায় একটি কমিউনিকেশন এবং মিডিয়া হাব প্রতিষ্ঠা করতে চলেছি। ছাত্রছাত্রীরা এখানে নিজেদের দক্ষতা বাড়াবেন। নিজেদের স্বপ্নপূরন করবেন।”
মিডিয়া ও বিনোদনের দুনিয়ায়, বিশেষ করে মিডিয়া শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলার সত্যম রায়চৌধুরিকেও এফএফআই অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করা হয়।
এরপরই হুইসলিং উডসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা জানান মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, “এটা কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। তবে আমরা হুইসলিং উডসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। পূর্ব ভারতে সেন্টার করার কথা হচ্ছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা শিখতে পারবেন। নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ পাবেন।”
হুইসলিং উডস ইন্টারন্যাশনাল মুম্বইয়ে অবস্থিত। বিখ্যাত পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের হাতে তৈরি চলচ্চিত্র, কমিউনিকেশন এবং সৃজনশীল শিল্পের প্রতিষ্ঠান। বাবুল বলেন, “এটা এমন জায়গা, যেখানে স্বপ্ন সত্যি হয়।” নিজের জীবনের উদাহরণও দেন বাবুল। ব্যাঙ্কের কাজ ছেড়ে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত গায়ক হওয়ার যাত্রাপথের কথা তুলে ধরেন। ফিল্ম পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভিতরের আগুনটাকে জ্বালিয়ে রাখতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না। স্বপ্ন আঁকড়ে থাকলে তা একদিন সত্যি হবেই।”
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, “চলচ্চিত্র একটা বিশাল ইন্ডাস্ট্রি। বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। আমরা এই ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ চাই। চলচ্চিত্র সমাজ, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ।”