আরও পড়ুন– প্রিমিয়ারে হাজির রাজা রানি রোমিও, প্রশংসা সবার মুখে, আপনি দেখেছেন এখনও?
এই ওয়েব সিরিজটির পরিচালনা এবং প্রযোজনা করছেন জন হালদার। মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা কৌশিক রায়কে। তাঁর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন প্লাবন বসু, রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়, দেবশ্রী রায় এবং সোমনাথ চক্রবর্তী। এই ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্য এবং সংলাপ লিখেছেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য। চিত্রগ্রহণ এবং সৃজনশীল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন যথাক্রমে অনির এবং প্লাবন বসু।
advertisement
পরিচালক জন হালদারের কথায়, “বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ‘৩৬ ঘণ্টা’ খুবই প্রাসঙ্গিক একটি গল্প। এখানে একজনের যাত্রার মধ্যে দিয়ে আমি এই বার্তাই দিতে চেয়েছি যে, কী করে আমাদের কাছের মানুষেরাও বিপদে পড়ে বদলে যেতে পারে এবং লোভ কতটা মারাত্মক পরিণতির দিকে প্রতিনিয়ত আমাদের ঠেলে দিচ্ছে। আর ক্লিক-এর সঙ্গে আমার তৃতীয় ওয়েব সিরিজ এটি। এখন প্রায় পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছি আমরা। কর্ণধার নীরজ ও অভয় তাঁতিয়াজি সব সময় আমাদের প্রতিটি স্তরে খুবই সাহায্য করে থাকেন।”
আবার লেখক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “৩৬ ঘণ্টা লেখার সময় প্রতিনিয়ত বর্তমান সমাজকে আয়নার সামনে দাঁড় করানোর প্রবণতা এসেছে আমার মধ্যে। এই গল্প এক সাধারণ মানুষের গল্প। যিনি পরিস্থিতির শিকার হন। আর ক্লিক-এর সঙ্গে এটি আমার দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ।”
অভিনেতা কৌশিক রায় বলেন যে, “এটা ক্লিক-এর সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। আগে ওদের কথা আমি শুনেছি। আসলে ওরা গতে বাঁধা কাজের পরিধির বাইরে বেরিয়ে নতুন ধারার নানা চিন্তাভাবনা করে। আমি মূলত টেলিভিশনে কাজ করেছি, তবে এই ওয়েব মিডিয়ায় এটা একটা মূল্যবান অভিজ্ঞতা ছিল। আমি আগেও সাধারণ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু ভীত, পলাতক, লোভে জর্জরিত একজন মানুষের চরিত্রের সূক্ষ্ম অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা কঠিন ছিল। অনিরের দক্ষ সিনেম্যাটোগ্রাফি এবং অভিজ্ঞ পরিচালক জন হালদারের পূর্ণ জ্ঞান আমাদের থেকে ভাল কাজ বের করে নিয়েছে।”
অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “ক্লিক-এর সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। আর এটা মূল্যবান এবং স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পরিচালক জন হালদার এবং জনপ্রিয় অভিনেতা কৌশিক রায়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যেন একটা বাড়তি পাওনা। টেলি ধারাবাহিকের পরে এমন একটি রহস্যময় ওয়েব সিরিজে কাজ করে খুবই উপভোগ করেছি।”
ক্লিক-এর ডিরেক্টর নীরজ তাঁতিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, রিল লাইফ কিন্তু বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে প্রতিফলিত করে। ক্ষতি এবং অনৈতিকতার মুখে পড়ে একজন কোনও একটি বেছে নিতে বাধ্য হন। আর এই বিষয়গুলিই ফুটে উঠবে ‘৩৬ ঘণ্টা’-য়।”