২০০ বছরের পুরনো বাড়ির উপরে বুলডোজার চালাতেই এ কোন দৃশ্য… রীতিমতো চমকে উঠলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
Prayagraj News: কিন্তু কী এমন দেখা গিয়েছে? আসলে ২০০ বছরের পুরনো বাড়িটি ভাঙার সময় মাটির তলায় বিশালকার একাধিক বিগ্রহ দেখা গিয়েছে।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সঙ্গম শহর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর তার প্রাক্কালে প্রয়াগরাজে কাশী বিশ্বনাথ এবং মির্জাপুরের বিন্ধ্যাচল করিডরের আদলে মহর্ষি ভরদ্বাজের একটি ঐশ্বরিক এবং সুন্দর করিডর বানানো হবে। সেই করিডর নির্মাণের আওতায় আসছে ৩৫টি বাড়ি। এর উপর দিয়েই প্রয়াগ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির বুলডোজার চালানো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিনেই চারটি বাড়ির উপর চালানো হয়েছে বুলডোজার। আর ২০০ বছরের পুরনো বাড়ি ভেঙে ফেলতেই মাটির তলায় এক অদ্ভুত দৃশ্য চোখে পড়েছে। যা দেখে শিউরে উঠেছেন বুলডোজারের চালক।
advertisement
এমনকী, কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে বুলডোজারের কাজ। কিন্তু কী এমন দেখা গিয়েছে? আসলে ২০০ বছরের পুরনো বাড়িটি ভাঙার সময় মাটির তলায় বিশালকার একাধিক বিগ্রহ দেখা গিয়েছে। আর সেইসব মূর্তি দেখতে ভিড় জমিয়েছিল প্রচুর মানুষ। কয়েকজন মিলে অবশ্য সেই মূর্তিগুলি তুলে নিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, ওই ভরদ্বাজ করিডর নির্মাণ করার জন্য ১৩ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে যোগী সরকার। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এই বাজেটের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৩.৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
advertisement
করিডরে বসানো হবে মহর্ষি ভরদ্বাজের ম্যুরাল। এর পাশাপাশি সাইন বোর্ডও ইনস্টল করা হচ্ছে। যেখানে মহর্ষি ভরদ্বাজের বিষয়ে তথ্য পাবেন ভক্ত এবং পর্যটকেরা। এদিকে মহর্ষি ভরদ্বাজের তপস্যার স্থান ফের স্থাপন করতে চায় সরকার। আবার সেখানেই রয়েছে মহর্ষি ভরদ্বাজের মন্দির। ফলে সেই মন্দিরেরও সৌন্দর্যায়ন করা হবে। আর আশপাশের এলাকার দখলও উচ্ছেদ করা হবে। মহর্ষি ভরদ্বাজের করিডর সম্পর্কে বিস্তারিত অ্যাকশন প্ল্যানও প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে। সঠিক ভাবে স্থাপন করা হবে প্রসাদের দোকানগুলিও। আর একেবারে হিন্দু মন্দিরের ধাঁচেই প্রস্তুত হচ্ছে ভরদ্বাজ করিডর। আর এই করিডর পুনর্নির্মাণের জন্য ইউপি প্রজেক্ট কর্পোরেশনকে কার্যনির্বাহী সংস্থা করা হয়েছে।
advertisement
মহর্ষি ভরদ্বাজের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করার জন্যই ম্যুরাল ইনস্টল করা হয়েছে। সমস্ত দেশের ভক্তদের সমাগম হবে সঙ্গমে। তাই তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাতে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ভক্তরা এই স্থানের মাহাত্ম্য বুঝতে পারেন। মহাঋষি ভরদ্বাজের মন্দির পর্যন্ত রাস্তায় করিডর তৈরি হবে। মহর্ষি ভরদ্বাজের জীবন এবং তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে এর থিম রাখা হয়েছে। করিডরের জন্য একটি সুবিশাল ফটকও তৈরি করা হবে। এটি লক্ষণীয় যে, রামায়ণে প্রয়াগরাজের ভরদ্বাজ মুনি আশ্রমের কথা উল্লেখ করেছিলেন মহাঋষি বাল্মীকি। তাঁর আশ্রমই দেশের প্রথম গুরুকুল হতে চলেছে। মহাঋষি ভরদ্বাজই প্রথম কুলগুরু বা কুলপতি হবেন।
advertisement
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বৈদিক যুগে এই স্থানেই ছিল এক গুরুকুল। যেখানে আসতেন সারা দেশের পড়ুয়ারা। মূলত বৈদিক শিক্ষালাভই ছিল তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। ভরদ্বাজ মুনির গুরুকুলে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা বৈজ্ঞানিক গবেষণাও করতেন। প্রাচীন যুগে এই আশ্রম নিজস্ব প্রমাণিকতা এবং আধ্যাত্মিক কেন্দ্র রূপে গোটা বিশ্বে খ্যাতি লাভ করেছিল। গতবারের কুম্ভের সময় ভরদ্বাজ আশ্রমের নিকটবর্তী উদ্যানটিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। একটি বিশালাকার মূর্তি এখানে স্থাপন করেছিল যোগী সরকার। করিডর প্রকল্পের আওতায় এই ভরদ্বাজ করিডরটি বিশ্বমানের তীর্থস্থান হিসেবে গণ্য হতে পারে।