সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এএনআই এর একটি রিপোর্ট শেয়ার করেন কঙ্গনা (Kangana Ranaut)। যেখানে বলা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে কঙ্গনার সোশ্যাল মিডিও পোস্ট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি আবেদন হয়েছে দেশের আইন কানুন বজায় রাখার জন্য। সেটি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, "হা হা হা! দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা!" সঙ্গে একটি রাজ মুকুটের ইমোজি ব্যবহার করেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন -অনাথ আশ্রমে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালেন শেহনাজ! ভক্তরা বলছেন, 'তুমি শক্তিশালী '
সুপ্রিম কোর্টে এই অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী চরনজিৎ সিং চন্দ্রপাল। কঙ্গনার বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর অভিযোগ যাতে মুম্বইয়ের খার থানায় নিয়ে আসা হয় সেই আবেদনও করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ৬ মাসের মধ্যে চার্জশিট ফাইল করতে হবে এবং দুবছরের মধ্যে এর বিচার হতে হবে।
আরও পড়ুন - ক্যাটরিনার বিয়েতে আসছেন না সলমন! প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়েতে না আসার আসল কারণ প্রকাশ্যে
শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের খলিস্তানি জঙ্গি বলায় কঙ্গনার (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তিনি। চরনজিৎ তাঁর অভিযোগে লিখেছেন, "এই মন্তব্য কেবল আপত্তিকর ও নিন্দাজনকই নয়। এই মন্তব্য় হিংসা ছড়াতে পারে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। এটি খুবই মানহানিরর এবং গোটা শিখ সম্প্রদায়কে দেশদ্রোহী হিসেবে তিনি দেখিয়েছেন। নিরীহ শিখদের হত্যাকেও এই মন্তব্য সিলমোহর দেয়। গোটা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে এই মন্তব্য। এর জন্য অভিনেত্রীর কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। এর কোনও অজুহাত হতে পারে না।"
আর এই জন্যই কঙ্গনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিলিট করে তা নিয়ন্ত্রণ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি, যাতে দেশের আইন কানুন অক্ষত থাকে। গত মাসে কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লিখেছিলেন, "প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি খলিস্তানি জঙ্গিদের মশার মতো মেরেছিলেন তাঁর নিজের জীবনের বদলে।" উল্লেখ্য, আসন্ন ছবি 'এমার্জেন্সি'-তে ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। সেই ছবির প্রচারও করেন তিনি।