এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে জয়া বচ্চন বলেন, ”আমি চাই না নব্যা বিয়ে করুক। আমি এখন ঠাকুমা। কয়েকদিনের মধ্যেই নব্যার ২৮ বছর বয়স হবে। আজকালকার মেয়েদের সন্তান লালন-পালনের উপদেশ দেওয়ার মতো বয়স আর আমার নেই। পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। আজকাল ছোটরা খুব বুদ্ধিমান। তারা এত বুদ্ধিমান যে তারা তোমাকে ছাড়িয়ে যাবে। অতএব, জীবন উপভোগ কর।”
advertisement
জয়ার বক্তব্য আংশিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। চোখের পলকে ভাইরাল হয় পোস্টটি। জয়ার মন্তব্যে নানা মুনির নানা মত! কেউ পাশে দাঁড়িয়েছেন, নিন্দুকেরা শুনিয়েছেন চাঁচাছোলা কথা! এক ইউজার তো বচ্চন ঘরণীকে ‘ঘৃণ্য’বলে দাগিয়ে দেন।
আরেকজন ইউজার শেয়ার করেছেন, “তিনি কি এখন লিভ-ইন সম্পর্ককে একটি সভ্যতার জন্য স্বাভাবিক হিসেবে প্রচার করছেন যারা ৫০০০ বছর ধরে বিবাহকে পবিত্র বলে মনে করে আসছে? ভারতীয় সংস্কৃতিতে, একজন স্ত্রী কেবল একজন সঙ্গিনী নন, তিনি অর্ধাঙ্গিনী, তাঁর স্বামীর অস্তিত্বের আক্ষরিক ভাবেই অর্ধেক। এটি পুরনো পিতৃতন্ত্র নয়; এটি সম্পূর্ণতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আজীবন প্রতিশ্রুতির একটি গভীর আধ্যাত্মিক ধারণা যা সহস্রাব্দ ধরে পরিবার এবং সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রেখেছে। কিন্তু সম্ভবত জয়াজি বলিউডের বুদবুদে এত দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন যে এটি বুঝতে পারেননি। জীবন কোনও চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট নয় যেখানে পরবর্তী দৃশ্যের সঙ্গে সম্পর্কগুলি পরিবর্তিত হয়।” আর এক ব্যক্তির কমেন্ট, “আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নারীদের বিয়ে নিয়ে আক্ষেপ করার সময় আমার নেই। তিনি চলে যাননি কারণ তিনি স্বাধীনভাবে ঘর বাঁধতে পারতেন না এবং বচ্চন উপাধি তাঁর জীবনে যে আরাম-আয়েশ এবং সুযোগ-সুবিধা এনে দেয় তা পেতে পারতেন না। আমি জয়াজিকে পছন্দ করি, কেবল চলচ্চিত্রে,”
একই অনুষ্ঠানে পাপারাৎজিদের নিয়েও জয়া বচ্চনের মন্তব্য বিতর্ক ডেকে এনেছে। জয়া বচ্চন পাপারাৎজিদের সঙ্গে তাঁর তিক্ত সম্পর্কের কথাও বলেছেন। তাঁর ভাষায়, “মিডিয়ার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দুর্দান্ত। আমি নিজেই মিডিয়ার পণ্য। কিন্তু পাপারাৎজিদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শূন্য। এরা কারা? এরা কি এই দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রশিক্ষিত? তোমরা তাদের মিডিয়া বল? আমি মিডিয়া থেকে এসেছি। আমার বাবা একজন সাংবাদিক ছিলেন। এই ধরনের মানুষের প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা।”
জয়ার প্রশ্ন, “কিন্তু যারা সস্তা, টাইট প্যান্ট পরে, হাতে মোবাইল নিয়ে ভাবে যে তাদের কাছে মোবাইল আছে বলেই তারা আপনার ছবি তুলতে পারবে এবং যা খুশি বলতে পারবে, তারা কেমন মানুষ? কোথা থেকে আসে তারা? পড়াশোনাই বা কত দূর? পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডই বা কী? এরা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করবে? শুধু এই কারণেই যে তারা ইউটিউব বা যে-কোনও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে যেতে পারে?”
জয়া বচ্চনের এই মন্তব্যের জবাবে একজন ব্যক্তি বলেন, “তিনি একজন চমৎকার অভিনেত্রী ছিলেন, কিন্তু একজন ব্যক্তি হিসেবে জয়া বচ্চন বিরক্তিকর। যাঁরা তাঁদের কাজ করেন, তাঁদের প্রতি এত অবজ্ঞা কেন? যদি তারা সীমা অতিক্রম করে তবে তাদের বরখাস্ত করুন, কিন্তু সব সময় খিটখিটে মেজাজে থাকবেন না।”
আরেকজন ইউজার বলেন, ” জয়া বচ্চন পাপারাৎজিদের সঙ্গে সব সময়েই চিৎকার করে কথা বলেন, এমনকি যখন তাঁরা কেবল “বাই ম্যাডাম” বলেন, তখনও! আর এখন কি না তিনি প্রকাশ্যে তাঁর আচরণকে ন্যায্য বলে তুলে ধরছেন!” আরও একজন যোগ করেছেন, “তাঁর মতামত প্রকাশ করার অধিকার আছে। তবে, যে জয়া বচ্চন পাপারাৎজিদের অনুপযুক্ত মন্তব্যের জন্য সমালোচনা করেন, তিনিই ঠিক একই কাজ করেন তাদের পোশাক এবং মর্যাদাকে উপহাস করে, সেই সঙ্গে দামি ক্যামেরা কিনতে না পারার অক্ষমতাকে কটাক্ষ করেও।”
