এই ছবিতে নায়িকার কাঁধে একটি নিটোল এবং বেশ বড় হার্ট শেপ দেখা যাচ্ছে। ফলে সঙ্গত কারণেই দেখতে দেখতে দাবানলের বেগে ছড়িয়ে পড়ল জল্পনা- নায়িকা কি ট্যাটু করিয়েছেন? বলিউডের সেলিব্রিটি ট্রেইনার দীপেশ ভাট যেমন স্পষ্টই লিখলেন ছবির নিচে- এক মুহূর্তের জন্য মনে হল তুমি ট্যাটু করিয়ে ফেলেছো!
তবে ছবিটা একটু মনোযোগ দিয়ে দেখলেই রহস্যটা বোঝা যাবে। দেখা যাচ্ছে যে একটা মিরর সেলফি তুলেছেন জ্যাকলিন ওয়ারড্রোব ক্লোসেটে দাঁড়িয়ে। তাঁর শরীরের উপরের ভাগে রয়েছে একটি সাদা লেসের অন্তর্বাস। সেই রঙের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ট্যাটুর ঈষৎ বেগুনি রঙ বেশ নজর কাড়ছে। কথা হল- ট্যাটু কি এই রঙের হয়? না কি নায়িকা এত সাদামাটা একটা হার্ট-শেপড ট্যাটু করিয়েই সন্তুষ্ট থাকবেন? তাহলে কি এখনও কাজ বাকি আছে? এটা ট্যাটু করানোর প্রথম ধাপ?
এই প্রসঙ্গে আবার ফিরে যেতে হবে ওই ট্রেইনার দীপেশ ভাটের কথায়। অনেকেই বুঝতে পারছেন না ব্যাপারটা, তাঁরা তারিফ করছেন ডিজাইনের। যেমন অভিনেতা অর্জুন বিজলানি একটা হার্ট ইমোজি দিয়ে বাহবা জানিয়েছেন। কিন্তু দীপেশ ফিটনেস ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাঁর ব্যাপারটা ধরতে দেরি হয়নি। আসলে এটা কালসিটের দাগ ছাড়া আর কিছুই নয়! ভালো করে ছবিটা দেখলে নায়িকার পিঠের নিচের দিকে, কোমরের কাছাকাছিও দাগ দেখা যাবে।
জ্যাকলিন আসলে হালফিলে স্বাস্থ্যের কারণে কাপিং থেরাপি করাচ্ছেন। ত্বকে কাপ বসানোর কারণে জায়গাটা ফুলে গিয়ে কালসিটে পড়ে, খুব তাড়াতাড়ি তা আবার মিলিয়েও যায়। রহস্যজনক ভাবে নায়িকার কাঁধে একটা হার্ট শেপ কালসিটে তৈরি হয়েছে, এই আর কী!
