আরও পড়ুন- "মা'কে যৌনকর্মী হিসেবে দেখানো"য় তীব্র আপত্তি সন্তানের! বিতর্কের মুখে গাঙ্গুবাই
গাঙ্গুবাইয়ের (Gangubai Kathiawadi) বাস্তব জীবনের গল্প আবর্তিত হয়েছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, উত্তরাধিকার এবং পতিতালয়ের রাজনীতিকে ঘিরে। একজন যৌনকর্মী হয়েও কীভাবে সমাজকর্মী হয়ে ওঠেন গাঙ্গুবাই, পতিতালয়ের অন্দরের সংস্কৃতি এবং রাজনীতি সবটুকুই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে।
advertisement
গাঙ্গুবাই তার বাবার হিসাবরক্ষক রমনিকের প্রেমে পড়েছিলেন। বলিউডে গিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। রমনিককে বিয়ে করে মুম্বইতে চলে আসেন গাঙ্গুবাই। প্রেমিক-স্বামী রমনিক গাঙ্গুবাইকে কামাথিপুরার পতিতালয়ে মাত্র ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেন। এস হুসেন জাইদি নিজের বইতে লিখেছেন, করিম লালার গ্যাংয়ের একজন সদস্য গাঙ্গুবাইকে ধর্ষণও করে এবং তিনি করিমের কাছে গিয়ে বিচারের অনুরোধও জানান। করিম লালাকে রাখি পরিয়ে ভাই পাতিয়েছিলেন গাঙ্গুবাই। করিমই গাঙ্গুবাইকে কামাথিপুরা এলাকার দায়িত্ব দেন এবং এর পর থেকেই ধীরে ধীরে ‘মাফিয়া কুইন’ হয়ে ওঠেন গাঙ্গুবাই। সম্মতির বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও মেয়েকেই পতিতালয়ে রাখেননি গাঙ্গুবাই এবং যৌনকর্মী এবং অনাথ শিশুদের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গিয়েছিলেন গাঙ্গুবাই।
সিনেমার (Gangubai Kathiawadi) ট্রেলারে দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের কামাথিপুরায় যৌনকর্মীদের বাজার অপসারণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন গাঙ্গুবাই।
আরও পড়ুন- জাঁকজমকহীন বিয়ে! বান্ধবীর সঙ্গে আজই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন বিক্রান্ত মাসসি: সূত্র
কামাথিপুরার একটি পতিতালয়ের ‘ম্যাডাম গাঙ্গুবাই কোঠেওয়ালি’কে ঘিরেই আবর্তিত গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি। হুসেন জাইদির বই মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বইয়ের একটি অধ্যায়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি গাঙ্গুবাইয়ের জীবনের গল্পই বলা যায়। চলচ্চিত্রে গাঙ্গুবাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া ভাট। শান্তনু মাহেশ্বরী, বিজয় রাজ, ইন্দিরা তিওয়ারি এবং সীমা পাহওয়াও রয়েছেন এই সিনেমায়। বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে অজয় দেবগন, ইমরান হাশমি এবং হুমা কুরেশিকেও।