ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের প্রোমো নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে দর্শকমহলে। অন্য দিকে নতুন উদ্যমে চরিত্রগুলি নিয়ে বোঝাপড়া চালাচ্ছেব শিল্পীরা। সপ্তর্ষি, সোনামণি ছাড়াও এই মেগাতে তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখা যাবে। অপরাজিতা ঘোষ দাস, অনসূয়া মজুমদার, অশোক ভট্টাচার্য, চন্দন সেন, মালবিকা সেন, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, ময়না মুখোপাধ্যায়, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, দুলাল লাহিড়ি প্রমুখ।
লীনার কথায়, ''ধারাবাহিকের মূল মন্ত্র প্রেম। ভীষণ প্রেমহীন সময়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা, যেখানে প্রেম খুব দরকার বলে আমার মনে হয়, তাই এই গল্প। আমাদের তো একটু বয়স বেড়েছে। আমাদের চোখে প্রেম কী রকম, অন্য ভাবেও যে প্রেম হয়, সেটা দেখাতে চেয়েছি।''
advertisement
আরও পড়ুন: 'এক্কা দোক্কা'র কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে 'আয় তবে সহচরী'? কী জানালেন কণীনিকা?
তবে এই গল্প কি কোথাও গিয়ে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট' থেকে উদ্বুদ্ধ? নিউজ18 বাংলাকে লীনা বললেন, ''শেক্সপিয়ারের 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট' থেকে তো কত মানুষই উদ্বুদ্ধ। কালজয়ী সাহিত্য তো সবার জীবনেই প্রেমের অনুভূতি নিয়ে আসে। সরাসরি উদ্বুদ্ধ নই, তবে অবচেতনে কাজ করে 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট'। কেবল তা-ও নয়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা থেকেও উদ্বুদ্ধ বলতে পারি।''
আরও পড়ুন: 'এক্কা দোক্কা'-র সপ্তর্ষি নায়কোচিত নন, 'অভিযোগ' শুনেও লীনার ভরসা অভিনয় দক্ষতায়
ধারাবাহিকের সাফল্যের প্রার্থনা করতে করতে পরিচালক শৈবাল বলেন, ''টেলিভিশনে দেখে যেন মানুষ মনে করে, বাস্তবেই এদের মধ্যে প্রেম আছে।'' হেসে উঠলেন নায়ক, নায়িকা এবং লেখিকাও। যদি সত্যিই সপ্তর্ষি এবং সোনামণিকে নিয়ে গসিপ শুরু হয়, তাঁরা কী ভাবে সামলাবেন?
সোনামণি সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন, ''যদি আমাদের নিয়ে গসিপ হয়, তা হলে বোঝা যাবে আমরা দর্শকের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। যদি না হত, তারা আমাদের নিয়ে ভাবতই না। কল্পনা করত না। যদি গসিপ শুরু হয়, আমি খুবই মজা করেই গ্রহণ করব সেটা।''
তবে অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্তের স্বামী সপ্তর্ষি সূক্ষ্ম দেওয়াল তুললেন ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবনের মধ্যে। তিনি বললেন, ''পেশাদার জীবনের কারণে যদি আমাকে নিয়ে গুজব ছড়ায়, তা হলে বলব, আমি দারুণ অভিনয় করতে পেরেছি। দু'টি ভিন্ন সত্তা হওয়া সত্ত্বেও মানুষ যে আমার এই সত্তাটা নিয়ে ভাবছে, সেটা ভাল। তবে ব্যক্তিগত জীবন তো আলাদা। তার সঙ্গে এ সবের কোনও সম্পর্ক নেই।''
শৈবাল তার উত্তরে বলেন, ''ব্যক্তিগত জীবন তো আলাদা বটেই। কিন্তু আমি চাই, ওরা মানুষকে অভিনয় দিয়ে বিশ্বাস করিয়ে ফেলুক যে ওদের মধ্যে প্রেম আছে। মানুষ ভাবুক। এটুকুই চাই।''
সকলেই সমর্থন করলেন পরিচালককে।