আচমকা ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন কঙ্গনা। যেখানে তিনি দাবি করেন, তাঁর উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। তার পরেই এই সমস্ত কিছুর জন্য ‘নেপো মাফিয়া ব্রিগেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট’কে দায়ী করেন তিনি। একইসঙ্গে সেই ব্যক্তিকে 'বলিউডের ক্যাসানোভা'র তকমা দেন তিনি। অর্থাৎ মহিলা জগতে যাঁর প্রভাব খুব বেশি।
আরও পড়ুন: কঙ্গনার বড় পরিবর্তন! বিয়ের আগে সিড-কিয়ারাকে নিয়ে চমকে দেওয়া বার্তা 'ক্যুইন'-এর
advertisement
আরও পড়ুন: 'সম্পর্ক' অতীত! দেব-শুভশ্রীর যে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলি পারদ চড়িয়েছে, দেখে নিন
কঙ্গনা লিখলেন, ‘আমি যেখানেই যাচ্ছি, অনুসরণ করা হচ্ছে। কেবল রাস্তায় নয়, আমার বিল্ডিংয়ের পার্কিং থেকে শুরু করে বাড়ির ছাদেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। জুম লেন্স দিয়ে ক্যামেরা তাক করা হচ্ছে। সকলেই জানেন, টাকা দিলে তারকাদের পিছু নেয় পাপারাৎজিরা। কিন্তু আমি বা আমার টিম কেউই তাদের টাকা দিচ্ছে না। তাহলে কে টাকা দিচ্ছে ওদের? ভোর সাড়ে ৬টার সময়ে আমার ছবি তোলা হচ্ছে। আমার সারা দিনের রুটিন জানল কী করে তারা? এই ছবিগুলো দিয়ে করবেই বা কী? কোরিওগ্রাফি ক্লাস সেরে বেরিয়ে দেখি এক দল পাপারাৎজি আমার ছবি তুলতে এসেছে। কেই তো টাকা দিইনি। আমি নিশ্চিত, আমার হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফাঁস হচ্ছে। কাজ বা ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত তথ্য জেনে যাচ্ছে কেউ।’
এর পরেই তিনি এক তারকার দিকে আঙুল তোলেন। যদিও একবারও কারও নাম নেননি তিনি। কিন্তু তাঁর লেখায়, ‘এই নেপো (নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ বলতে চেয়েছেন তিনি) মাফিয়া ক্লাউন একবার আমার বাড়ি এসে আমার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করার চেষ্টা করেছিলেন। সবাই তাঁকে উওমানাইজার হিসেবে চেনে। এখন সেই ‘নেপো মাফিয়া ব্রিগেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট’ আবার নিজের স্ত্রীকেও প্রযোজনা করতে জোর করেছেন। নারীকেন্দ্রিক ছবি করছেন। আমার মতো সাজছেন। ইন্টেরিয়র ডিজইন করছে আমারই মতো। আমার হেয়ার স্টাইলিস্ট আর হোম স্টাইলিস্টকে নিযুক্ত করেছেন। তাঁরা আর আমার সঙ্গে কাজ করতে চান না। আর আমাকে নিয়ে তাঁর স্বামীর এই পাগলামিকে সমর্থন করেন স্ত্রী। আমি ভাইয়ের বিয়েতে যে শাড়ি পরেছিলাম, তাঁর স্ত্রী আবার আমাকে নকল করেই নিজের বিয়েতে ওরকম শাড়ি পরেছেন। আমার কাছের মানুষদের সঙ্গে ঝগড়া লাগিয়ে দিচ্ছে। আমাকে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা তলায় থাকেন। খারাপ লাগে ওঁর স্ত্রীর জন্য। স্বামীর নাম খারাপ হলে নিজের ও তাঁদের সদ্যোজাতর নাম খারাপ হবে ভেবেই কি চুপ থাকেন তিনি? স্বামীর উপর নজর রাখা উচিত তাঁর। সমস্ত তথ্য জোগাড় করে কী করতে চান তাঁর স্বামী?’ শেষে সেই অভিনেতার স্ত্রীকে এবং তাঁদের সদ্যোজাতকে ভালবাসাও জানান কঙ্গনা।
সমস্ত সূত্র মিলিয়ে দেখলে রণবীর-আলিয়ার খুঁটিনাটির সঙ্গে মিলে যায়। তবে কি রণবীরের বিরুদ্ধেই এত অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী?