বারো পাতার এই দেওয়াল ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে উপস্থিত ছিলেন শহরের এমনই এক ঝাঁক ট্রাভেল গাইড। ষাটের দশকে দেব আনন্দের অন্যতম ক্লাসিক ফিল্ম ছিল "গাইড"। সেই সময় ছবিটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল এক কোটি টাকা। সেই সূত্র ধরেই রিয়েল লাইফ গাইডদের উপস্থিতিতেই এই ক্যালেন্ডার প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত চন্দ। সমগ্র ক্যালেন্ডারটার পরিকল্পনা সুদীপ্তর নিজের। ধরমদেব পিশোরিমল আনন্দ ওরফে দেব আনন্দের জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩। শতবর্ষ ছোঁওয়ার এই বছরে ফিরে দেখা এই কিংবদন্তি স্টাইল আইকনকে, ক্যালেন্ডারের পাতায়, পাতায়।
advertisement
আরও পড়ুন : ১৮ বছরের দাম্পত্য ভাঙলেন ধনুষ ও ঐশ্বর্যা
এই ক্যালেন্ডারে আছে বেশ কিছু চমক। দেব আনন্দ অভিনীত প্রথম দিকের ছবির রেয়ার বুকলেট কভার, রেকর্ড কভার, ফিল্ম স্টিল, প্লেয়িং কার্ড-এ দেব আনন্দের ছবির প্রচারের ছবি, দেশলাই বাক্সে ছবির প্রচারের নিদর্শন, নব কেতন প্রোডাকশনের কুড়ি বছর উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ রেকর্ডে যেখানে শচীন দেব বর্মন নব কেতন প্রোডাকশনের গান নির্বাচন করেছিলেন, তার প্রচ্ছদ তাতে দেব আনন্দ আর শচীনদেব বর্মনের লেখাও রয়েছে।
ছবি প্রোমোশনের ব্যবহৃত মাধ্যম হিসেবে তাস, দেশলাই বাক্স ছিল অন্যতম। 'আসলি নকলি' ছবির প্রোমোশনে প্লেয়িং কার্ডের ব্যবহার, 'গাইড' লেখা দেশলাই বাক্সে, ফিল্ম স্টিলে সুচিত্রা সেনের সাথে 'বোম্বাই কা বাবু' ছবির দৃশ্য, 'প্রেম পূজারী' ছবির টিকিট, ভারতীয় ডাক বিভাগের প্রকাশিত দেব আনন্দ এর উপর ডাকটিকিট এই ক্যালেন্ডারে যেমন থাকছে, আরও থাকছে বুকলেটে 'গাইড', 'জুয়েল থিফ', 'মহল', 'হরে রাম হরে কৃষ্ণ', 'ডার্লিং ডার্লিং', 'অফসর', 'মুনিমজি', 'ট্যাক্সি ড্রাইভার'-সহ আরও অনেক ছবির উপস্থিতি বেশ নজর কাড়বে।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর ভাষা না কি মাথায় ঢোকে না! টুইঙ্কলকে উদ্দেশ্য করে এ কথা কেন বললেন অক্ষয়?
এই ক্যালেন্ডারে ছবি দিয়েছেন বিশ্বাস নেরুরকার, গোপী দে সরকার এবং সুদীপ্ত চন্দ। উল্লেখযোগ্য ভাবে মানব নাগ, পার্থ ঘোষ, ঋত্বিক ঘোষ, প্রাণজিৎ বসুর মতো রিয়েল লাইফ ট্যুরিজম গাইডদের হাতেই প্রকাশ পেল এভারগ্রিন গাইডকে নিয়ে এই বিশেষ ক্যালেন্ডার। সঙ্গীত পরিবেশন করেন অরিত্র মুখোপাধ্যায়,চন্দ্রিমা, ঋক বিশ্বাসরা। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী দেবাশিস বসু।
সম্প্রতি এমনই এক অভিনব ক্যালেন্ডার প্রকাশ হল আইসিসিআর এর স্পাইসেস এন্ড সসেস-এ।