TRENDING:

Dakghor Web Series: '৭৫ থেকে ৮০% শট আমার পরিচালনায়...', ‘ডাকঘর’ বিতর্কে বিস্ফোরক ১ম পরিচালক অভিষেক

Last Updated:

Dakghor Web Series: অবশেষে বিতর্কে ইতি টানলেন অভিষেক সাহা। ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের বক্তব্য় জানালেন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে হইচই-এ মুক্তি পাওয়া 'ডাকঘর'। তবে সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং দিতিপ্রিয়া রায় অভিনীত এই সিরিজ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। দিন কয়েক আগেই ফেসবুক লাইভে অরিত্র দত্ত বণিক অভিযোগ করেন, সিরিজের সিনেটোগ্রাফার এবং পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন অন্য দু'জন। কিন্তু শ্যুট কিছুদূর এগনোর পরেই তাঁদের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। তাঁরা সরে যাওয়ায় তাঁদের জুতোয় পা গলায় অন্য দুই শিল্পী।
'ডাকঘর' নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক
'ডাকঘর' নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক
advertisement

এ বিষয়ে এত দিন মুখে কুলুুপ এঁটেছিলেন পরিচালক অভিষেক সাহা। তাঁর হয়ে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, 'তুমি অশান্তি এড়াতে চুপচাপ গ্যালারি তে বসে খেলা দেখে চলেছ আর মিটমিট করে হেসে চলেছ... তোমার জন্য হিমালয়ে যাবার সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। তুমি প্লিজ চলে যাও। দাড়ি গোঁফ যা গজিয়েছে, ওরা তোমাকে এমনিই নিয়ে নেবে ওদের দলে। তোমার মতো মানুষ এই (অ)সভ্য দুনিয়া ডিজার্ভই করে না।’

advertisement

অবশেষে বিতর্কে ইতি টানলেন অভিষেক সাহা। ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের বক্তব্য় জানালেন তিনি। পরিচালক জানান, 'ডাকঘর'-এর শ্যুটের জন্য বরাদ্দ থাকা ১৪ দিনের থেকে কিছু বেশি সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সম্ভবত পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় সেই অতিরিক্ত সময় দিতে রাজি ছিল না চ্যানেল। সেই সমস্য়ার সমাধান করতে একটি বড় এবং একটি ছোট ক্য়ামেরায় শ্যুট করার পরামর্শ দিয়েছিলেন পরিচালক। তিনি লেখেন, "প্ল্যান করেছিলাম, আমরা তাহলে দুটো ক্যামেরায় শ্যুট করি, একটা বড়, একটা ছোট, কম সময়ে বেশি কাজ যাতে তুলতে পারি। সেইমত বাজেট ও ধরা হয়। বাজেট পাস ও হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ক্যামেরা আমাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।'

advertisement

এর পরেও নানা সমস্যার কারণে পরিকল্পিত সময় অনুযায়ী শ্যুট শেষ করে ওঠা সম্ভব হচ্ছিল না। অভিষেকের অভিযোগ, সেই সময়ে দ্বিতীয় ক্যামেরাটি উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও নাকি সেটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। শ্যুট চলাকালীন হইচই থেকে নাকি তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তবে পরিচালকের দাবি, একটা সময়ের পর তিনি কাউকেই পাশে পাননি।

advertisement

সেই দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে অভিষেক লেখেন, 'পরে অবশ্য আমার অবর্তমানে এবং অগোচরে যে এক্সট্রা শ্যুটিং বা প্যাচ শ্যুটিং হয়, তার জন্য আরো সাত দিন সময় এবং দ্বিতীয় ক্যামেরাও দেওয়া হয়েছিল শুনেছি। সেখানে আমি এবং আমার সিনেমাটোগ্রাফার মৃন্ময় নন্দী ছিলাম না। সুতরাং কোনো এক অজ্ঞাত কারণে আমরাই দ্বিতীয় ক্যামেরা ব্যবহারের যোগ্য ছিলাম না, ধরে নিচ্ছি।'

advertisement

অভিষেক জানান, সিরিজের কাজ ফেলে লন্ডন চলে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পরিচালক বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানান, পেশাগত কারণেই বিদেশ যেতে হয়েছিল তাঁকে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে নাকি তিনি আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন সে কথা। বিদেশ থেকেই নাকি সিরিজটি সম্পাদনার বিষয়ে নজর রেখেছিলেন তিনি। যোগাযোগ রেখেছিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গেও। এমনকী ফিরে এসেও নাকি একাধিক মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কী ভাবে পুরো বিষয়টি হইচইয়ের মনের মতো করে তোলা যায়, সেই বিষয়েও পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘ডাকঘর’-এর ১ম পরিচালক-ডিওপির নাম নেই প্রচারে, প্রযোজকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অরিত্র

আরও পড়ুন: না পাঠানো চিঠি রয়েছে বাড়িতে, আর হয়তো দেওয়াও হবে না: দিতিপ্রিয়া-সুহোত্রর প্রেমপত্রের গল্প

এখানেই থেমে যাননি অভিষেক। পরিচালকের অভিযোগ, ক্রমশই প্রযোজক এবং হইচই কর্তৃপক্ষ তাঁর ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। অভিষেকের অগোচরেই নাকি সিরিজটি নিয়ে চলছিল বৈঠক, পরিকল্পনা। এমনকী সিরিজের প্যাচ শ্যুটিংও নাকি সেরে ফেলা হয় তাঁর অজান্তেই। এ সব জেনে চরম অপমানিত বোধ করে তিনি আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

হইচইয়ের উদ্দেশে অভিষেক লেখেন, 'আমি নগণ্য পরিচালক। লোকে বোধ হয় খুব একটা চেনেন ও না আমাকে, নাম ও জানেন না আমার। ওদের স্টেক অনেক বেশি। আমাকে বাদ দিতেই পারেন। আমাকে সে কথা অফিসিয়ালি জানাতে পারতেন তাঁরা। আমার সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলে ওখানেই নিষ্পত্তি করে নিতে পারতেন ব্যাপারটা। করেননি।'

অভিষেক জানান, প্রথম দিকে তিনি কিছুটা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন। কিন্তু পুরো কাজটি নিজের হাতে শেষ না করায় বাকি পারিশ্রমিক নেননি তিনি। সিরিজটি মুক্তির সময়ে অভিষেকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কৃতিত্বের তালিকায় তাঁর নাম কী ভাবে দেওয়া হবে। তিনি লেখেন, 'তাৎক্ষণিক ঘোর কাটিয়ে বলি, "ছেড়ে দাও, আমার নাম টা দেবার দরকার নেই।" উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেন, "তাহলে ইমেইলে একটা এনওসি দিয়ে দাও"। আমি দিয়ে দিই। ব্যস্, এই পর্যন্তই।'

অভিষেক লিখেছেন, ''ডাকঘর' আমার দেখা হয়নি। তবে ইন্টারনেটে ট্রেলার, গানের অংশ, দৃশ্যের অংশ, শটের স্টিল ছবি যেটুকু যা আজ অবধি চোখে পড়েছে, তার ৭৫ থেকে ৮০% শট আমার পরিচালনায় মৃন্ময় নন্দীরই শ্যুট করা। তার মানে 'রিশ্যুট' হয়নি। আমাদের নেওয়া জঘন্য সব শট রেখেই কিছু এক্সট্রা শট নেওয়া হয়েছিল।'

অভিষেক জানান, প্রথমে 'ডাকঘর'-এর মুখ্য চরিত্রে দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে সুহোত্রকে নেওয়ার কথা হলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে কোনও 'স্টার' অভিনেতাকে নেওয়ার পরিকল্পা করছিল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অভিষেকের কথাতেই নাকি এই সিরিজে সুযোগ দেওয়া হয়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

দীর্ঘ পোস্ট শেষে ডাকঘরের সঙ্গে জড়িত সমস্ত অভিনেতা ও কলাকুশলীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। বিতর্কের ঊর্ধ্বে গিয়ে দর্শকদের 'ডাকঘর' দেখার অনুরোধও করেছেন তিনি।

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Dakghor Web Series: '৭৫ থেকে ৮০% শট আমার পরিচালনায়...', ‘ডাকঘর’ বিতর্কে বিস্ফোরক ১ম পরিচালক অভিষেক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল