TRENDING:

বলিউডে কাজের জন্য 'ব্যাকগ্রাউন্ড' দরকার পড়ে না: ঋত্বিক ভৌমিক

Last Updated:

বন্দিশ ব্যান্ডিটস-এর নায়ক বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রাইম থ্রিলারকেও পেছনে ফেলে দিতে পারে ধ্রুপদসঙ্গীত আধারিত কাহিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মুম্বই: বলিউডের ওটিটি আকাশে আর এক বাঙালি যুবা। বন্দিশ ব্যান্ডিট-এর নায়ক বুঝিয়ে দিয়েছেন ক্রাইম থ্রিলারকেও পেছনে ফেলে দিতে পারে ধ্রুপদসঙ্গীত আধারিত কাহিনি। স্বাধীনতা দিবসে মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে ভার্চুয়াল চ্যাটে শর্মিলা মাইতির সঙ্গে।
advertisement

তেরঙা পতাকা পতপত করে আকাশে ওড়ার দিন। আর সেই দিন মানেই বাড়ির আশেপাশে সারা পাড়া জুড়ে দেশাত্মবোধক গান। "সকালে ঘুম ভাঙত 'বর্ডার' ছবির সেই বিখ্যাত গান 'সন্দেশ আতে হ্যায়',  টিভিতেও চলত। সকাল থেকে রাত অবধি যতবার শুনতাম, আপনা থেকে চোখে জল এসে যেত। ওই গানে এমনই জাদু। বড় হয়েও যত বার যে সিচুয়েশনেই গানটা শুনেছি, ভিতরে দলাপাকানো কষ্টটা অনুভব করেছি।" বললেন ঋত্বিক।

advertisement

লক্ষ লক্ষ লোক দেখছে তাঁর অভিনীত ওয়েব সিরিজ। মুম্বইয়ের প্রবাসী ঋত্বিকের বাংলাটা এখনও সড়গড় নয়। হিন্দি পরিবেশে বড় হয়েছেন, বাড়িতেও হিন্দিতেই কথা বলেন। তবে এই সাফল্যের পরে বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ এলে লুফে নেবেন নিশ্চিত। "আমার বাংলা উচ্চারণ স্পষ্ট নয়। এখনও নিজেকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। তবে সুযোগ যদি আসে,  তবে মনপ্রাণ ঢেলে দেব। জান লড়িয়ে দেব। তখন আপনি যদি ইন্টারভিউ নিতে আসেন, দেখবেন ঝরঝরে বাংলায় কথা বলছি। মেলাতেই পারবেন না এই ঋত্বিককে! " একগাল হাসি নিয়ে বললেন ঋত্বিক।

advertisement

দারুণ নাচেন। পেটে অভিনয়ের চনমনে খিদে। কিন্তু রাধে রাঠোরের চরিত্রটা আসার পর নাচ ছেড়ে গানের দিকেই একাগ্র হয়েছেন। তখন কনফিডেন্সই ছিল সম্বল। কীভাবে বুঝলেন যে চরিত্রটার খাপে বসতে গেলে নিজেকেও বদলাতে হবে? ধ্রুপদী সঙ্গীতে বিশ্বাসযোগ্য করে লিপ মেলানো কম কথা? "দেখুন, ছোটবেলা থেকেই বিশ্বাস করতাম, আমি অভিনয় করার জন্যই জন্মেছি। পড়াশোনা যা-ই করি, যতদূরই করি না কেন, অভিনয়ই আমার আল্টিমেট ডেস্টিনেশন। তাই চরিত্রটা যেদিন কনফার্মড হল, আমি ধ্রুপদসঙ্গীতের তালিম নিতে শুরু করলাম অক্ষত বারিকের কাছে। আমার সঙ্গে নায়িকা শ্রেয়াও সঙ্গীতের তালিম নিয়েছে। এটা শুধু চরিত্রের প্রয়োজন বলে নয়, একটা শিল্পকে শিখতে শুরু করলাম, শ্রদ্ধা করতে শিখলাম। আমার গুরু, যিনি এই ছবির জন্য আমায় ওয়র্কশপ করাচ্ছিলেন, " বলতে বলতে কানে আঙুল দিলেন ঋত্বিক, "তাঁর দেখানো পথেই হাঁটতে শুরু করলাম। ধ্রুপদসঙ্গীতের এক বিরাট ইতিহাস  আছে,  এক বিরাট আয়তনের ভূগোল আছে। প্রতিদিনই বিচিত্র এক গানের ভুবনের বাসিন্দা হতে শুরু করলাম।" বললেন ঋত্বিক।

advertisement

তাহলে একটা রাগ শুনিয়েই দিন, নিশ্চয়ই এতদিনে...  মুখের কথা কেড়ে নিলেন ঋত্বিক, "ওই বুদ্বুদ টা ফাটাতে চাই না, বুঝলেন। লোকে এখনও মনে মনে ভাবে আমি খুব ভাল গাই। তবে হ্যাঁ, নাউ আই  হ্যাভ আ ট্যাড বিট অফ নলেজ। একেবারে অজ্ঞ নই।" হাসলেন ঋত্বিক।

আরও বড় একটা দায়িত্ব ছিল। নাসিরউদ্দিন শাহের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একই ফ্রেমে দাঁড়াতে হলেও তৈরি হতে হবে! " এই ভয় তো সর্বক্ষণ ছিল। আমি একজন ছাত্র হয়ে এত গুণী কিংবদন্তি নাসির সাবের পাশে দাঁড়াব কীভাবে? প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বলি। আমি পাঁচ মিনিট দেরিতে শুটিং স্পটে পৌঁছেছি। নিজেকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করছে! ভীষণ  অস্বস্তি মনে। কী করে ওঁর সামনে দাঁড়িয়ে ডায়লগ বলব! পরিস্থিতি সহজ করলেন নাসির সাব। আমাকে সাহস দিলেন, উৎসাহ দিলেন। ভুলব না, জীবনে ভুলব না। যতক্ষণ শুটিং করার সুযোগ পেয়েছি, দেখেছি কী অগাধ জ্ঞান তাঁর। আমি নতুন। কী অপূর্ব এক গুরু শিষ্য সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল কী বলব। ওঁর দৈব ক্ষমতাবলে।"

advertisement

বলিউডে বাঙালি অভিনেতার চাহিদা কেমন? কখনও একস্ট্রা অ্যাডভান্টেজ পান বাঙালি হওয়ার জন্য? "অ্যাডভান্টেজ বলব না, তবে বাঙালি এখানে প্রচুর। টেকনিশিয়ান থেকে অভিনেতা পরিচালক অনেকেই বাঙালি। বাঙালি শুনলে মনে হয় কমফর্ট জ়োনে আছি, যদিও ব্যাপারটা পুরোপুরি মেন্টাল! (হাসি) শুটিংয়ে এদিক-ওদিক থেকে বাংলা কথা শুনতে পাই, এই যা! 'তবে বাংলা গানের আর ছবির পোকা ঋত্বিক। "বাড়িতে ছোটবেলা থেকে চর্চা ছিল বাংলা গান ও ছবির। আমার বাংলা ভাল নয় কিন্তু বাড়িতে সবাই বাংলাতেই কথা বলেন। বাংলা মেলডি শুনে সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারি।"

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জয়নগরের মোয়া, তাও আবার সুগার ফ্রি! উইন্টার ডেলিকেসি এখন সবার নাগালে, কোথায় পাবেন? জানুন
আরও দেখুন

বলিউডে ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড কতটা প্রয়োজন? শেষ প্রশ্নের জবাবে উড়ে এল আর একটা প্রশ্ন। ঋত্বিক জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি ওয়েব সিরিজটা দেখেছেন? " হ্যাঁ, সেটা দেখেই তো আপনাকে যোগাযোগ করলাম। "দেখলেন তো? " ঋত্বিকের ঠোঁটে বুদ্ধিদীপ্ত হাসি, "আমার কাজ দেখে আপনি আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। আমি নতুন হওয়া সত্ত্বেও। তার মানে, আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটা জরুরি নয়। এই সিনেমাশিল্প আমি কতটা শিখলাম, কতটা দিতে পারলাম, সেটাই আগামী দিনে আমার পরিচয় হবে। আপনি যদি ফিল্মি ফ্যামিলির কেউ হন, তবে হয়ত এই শিল্পের সঙ্গে আপনার আংশিক পরিচয় থাকবে। তার বেশি নয়। বাকিটা নিজেকে করতে হবে।" বললেন আত্মবিশ্বাসী ঋত্বিক।

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
বলিউডে কাজের জন্য 'ব্যাকগ্রাউন্ড' দরকার পড়ে না: ঋত্বিক ভৌমিক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল