মাত্র ১৬ বছর বয়সে আশা গণপত রাওয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। তিনি ছিলেন লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত সচিব। গণপত তখন ৩১ বছরের যুবক। আশা-গণপতের প্রেম পরিবারে কেউ মেনে নেয়নি। দিদি ও পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন আশা। অল্প সময়ের মধ্যে তিন সন্তানও হয়েছিল তাঁদের। তবে শ্বশুরবাড়িতে আশা নির্যাতিত হন বলে জানা যায়। সন্তান-সহ আশাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কাজ না কি প্রেম? আপনি কোনটায় বেশি গুরুত্ব দেন? এই ইলিউশন থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, দেখুন
তিন সন্তানকে নিয়ে মামাবাড়িতে চলে যান আশা। পরে ৬ বছরের ছোট রাহুল দেব বর্মণের সঙ্গী হন আশা ভোঁসলে। মঞ্জিল ছবিতে একসঙ্গে দুজনে কাজ করেন এবং সেই থেকে সম্পর্ক হয় তাঁদের। পরে ১৯৮০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। আশা তাঁর এক সাক্ষাৎকারে রাহুলের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতের কথা বলেছিলেন। প্রতিভাবান রাহুল তখন তরুণ। ভালবেসে সকলেই তাঁকে পঞ্চম বলে ডাকতেন।
আরও পড়ুন: চিরকাল ‘লুকিয়ে’ সইফ-সোহার বোন সাবা আলি খান, কিন্তু কেন? ২৭০০ কোটির মালকিন কী কাজ করেন?
রোগাপাতলা, ফ্যাকাশে এক যুবক। চোখে মোটা চশমা। সেই পঞ্চমকে চিনতেন আশা। গায়িকার কথায়, ‘সেই ছেলেটি আমার অটোগ্রাফ চেয়েছিল। রেডিওতে আমার গাওয়া মরাঠি নাট্যসঙ্গীত শুনেছিল ভাল লেগেছিল ওর।’ আশা আরও বলেছিলেন, ‘মজাদার মানুষ ছিলেন রাহুল। অনেকের গলা নকল করতে পারতেন। আশাকে এক বার ঝাড়ু উপহার দিয়েছিলেন, সঙ্গে অবশ্য একটা গোলাপও ছিল।’