সোমা দাস কলকাতার মেয়ে হলেও দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে থাকেন। সেখানে একটা ছোটদের স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এক সময় গান শিখেছেন দক্ষিণী থেকে। রবীন্দ্রনাথের গানে তালিম হলেও বাংলা গানের নানা ধারার প্রতি সোমার ঝোঁক চোখে পড়ে। রবীন্দ্রনাথের গানের অ্যালবাম করেন দেবজ্যোতি মিশ্রের তত্ত্বাবধানে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রূপঙ্করের কথায়-সুরে 'একুশের গান' করেন তিনি। জয় সরকারের সুরে করেন 'ফিরে আসছি'।
advertisement
অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমেও ছিল চমক। রবীন্দ্রসঙ্গীত অ্যালবাম প্রকাশ করেন মেহবুব ব্যান্ড-এর শিল্পীরা, 'ফিরে আসছি' সিঙ্গেলস প্রকাশে উপস্থিত ছিলেন বহুরূপী শিল্পীরা। সোমার আর এক আগ্রহের দিক হল 'স্ট্রিট মিউজিশিয়ান'। লন্ডনে পথ সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই 'কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যাল'-এর সঙ্গে আছেন সেই শুরুর দিন থেকে, সহযোগিতায়।
এই অনুষ্ঠানের জন্য সোমা ইংল্যান্ডের দ্যা মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটি থেকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ পান। দু'বছর করোনা কালে দেশে ফিরতে পারেননি। তাই দেশে ফিরে আয়োজন করলেন এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। সঙ্গী রাজার কবিতার ক্লাস। গানে, কথায়, কবিতায় একটা সন্ধ্যা, যা বিদেশে থাকাকালীন সোমা পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁর প্রিয় শহরে শীতের সন্ধ্যায় পরিবেশন করবেন বলে। গানের চয়নে শিকড়ের টান, নিজের শিকড়ের কাছে ফিরে আসার বার্তা।
আরও পড়ুন: সিংহাসন হারাল জগদ্ধাত্রী! মিঠাইয়ের খুনিকে খুঁজে পাওয়া যাবে? জোর টক্করে কে সেরা, দেখুন TRP
আরও পড়ুন: শার্লিকে কোচিংয়ে দিয়ে পার্কে ঘুমাতাম, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন নীল
সোমা দাস বললেন, "করোনা কালে খালি ভাবতাম কবে চেনা মানুষগুলোর মুখ দেখতে পারব। দু'বছর পর নিজের শহরে এলাম। যখন করোনার প্রকোপ ছিল খুব, গৃহবন্দি অবস্থায় শুধু গান, কবিতাই ছিল সব সময়ের সঙ্গী। তাই নিজের শহরে ফিরে আনন্দের মাঝে তাদেরকেই সঙ্গী করে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা। সঙ্গে রাজাকে পাওয়া, এতে অনুষ্ঠান যে আরও পরিপূর্ণতা পাবে তা বলাই বাহুল্য।"