Sharly Modak break up: শার্লিকে কোচিংয়ে দিয়ে পার্কে ঘুমাতাম, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন নীল

আলাপ হয়েছিল জলপাইগুড়িতে। ২০১৭ সালে তিস্তা নদীর বাঁধে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। আলাদা আলাদা ভাবে। ফিরেছিলেন যুগল হিসেবে। এভাবেই শুরু শার্লি মোদক এবং মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্যের প্রেম।

তার পর কেটে গেল পাঁচ বছর। চলতি বছর পুজোর পরেই সম্পর্ক ছেদ হল। 'ভাগ্যলক্ষ্মী' ধারাবাহিকের 'ভাগ্যশ্রী' এখন একা। নিউজ18 বাংলাকে বিচ্ছেগ নিয়ে তিনি জানান, যৌথ ভাবেই পাঁচ বছরের সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

'শার্লির কথায়, ''একসঙ্গে থেকে খারাপ থাকার চেয়ে আলাদা হওয়াই ভাল। আমরা দু'জনেই ভাল আছি। এখন আমি একা। অনেক দায়িত্ব নিজেকে নিতে হচ্ছে। অনেক কিছু শিখছি। ব্রেক আপ হয়েছে বলে বসে বসে কাঁদব, এমনটা নয়। এই বিচ্ছেদ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।''

অন্যদিকে মৃত্যুঞ্জয় ওরফে নীল আইটি সেক্টরে চাকুরিজীবী। সঙ্গে অভিনয়ও করেন তিনি। কখনও মঞ্চ, কখনও ওয়েব সিরিজ। এছাড়াও মডেলিং করতে দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়।

পাঁচ বছরের লিভ-ইন সম্পর্কের গোড়ার কথা নিউজ18 বাংলাকে জানালেন নীল। তাঁর কথায় জানা যায়, এই পাঁচ বছরে এই সম্পর্কটাই তাঁর জীবনে সব কিছুর থেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।

শার্লি-নীলের বয়সের ফারাক ৭ বছর। শার্লিকে তাই তিনি ভীষণ আদরে, যত্নে রাখতে চাইতেন 'লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার'-এর হংসিনীকে। অডিশন, ফোটোশ্যুট বা পড়া, যা-ই থাকুক না কেন, অফিসের কাজ সামলে বাইকে করে প্রেমিকাকে দিয়ে আসা, নিয়ে আসা করতে ভাল লাগত তাঁর।

কিন্তু ২০১৯ সাল থেকেই ধীরে ধীরে সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যেতে থাকে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে লিভ-ইন সম্পর্ক ছেড়ে নিজের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত করেন শার্লি। তার পর একদিন বিচ্ছেদ। তিস্তা পারের বৃত্তান্ত শেষ হল।

শার্লির প্রাক্তন প্রেমিকের দাবি, ''আমরা জলপাইগুড়ির মানুষ। শার্লি খুূব সরল। ওর মন বিষিয়ে দেওয়াও সহজ। ওর আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ওর সরল মনে কুপ্রভাব ফেলতে পারে।''

কিন্তু তাঁর বক্তব্য, ''আমি কেবল চাই, শার্লি ভাল থাকুক, আরও কাজ করুক। কোনও বাজে প্রভাব যেন ওকে ছুঁতে না পারে। শার্লি যেন আগের মতোই মিষ্টি মেয়েটা থাকে। কষ্ট তো হবেই ওকে ছেড়ে থাকতে, কিন্তু মানিয়ে নেব।''