শুক্রবার রাত থেকে কলকাতা শহরে চলছে 'টাকার খেলা'! টালিগঞ্জের একটি আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে ইডি আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন ২১ কোটি! সেই শুরু! তারপর থেকে টাকা উদ্ধার হয়েই চলেছে! যেন ভানুমতির খেলা! অর্পিতার একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একের পর এক টাকার পাহাড় আবিষ্কার করেছে ইডি! বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা দু'জনেই ইডি-র হেফাজতে।
টালিগঞ্জ আর বেলঘরিয়া দুটো ফ্ল্যাট মিলে ৫০ কোটি টাকা! বাংলাজুড়ে এখন একটাই বিষয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আর অর্পিতার একাধিক ঠিকানা থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার পাহাড়। সেইসঙ্গে লাগামহীন সম্পত্তির নিত্যদিন সামনে আসা। এই পরিস্থিতিতে ইডি সূত্রে সামনে এল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর, টানা জেরায় অর্পিতা স্বীকার করেছেন, তাঁর বাড়িতে যে যে টাকা উদ্ধার হচ্ছে, সমস্তটাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকা। সেই টাকা নাকি অর্পিতার ফ্ল্যাটে রেখে যেতেন পার্থরই 'লোকজন'!
আরও পড়ুন: বিঘার পর বিঘা জমি, তোলা হচ্ছে পাঁচিল, অর্পিতার নতুন সম্পত্তির কথা জানলে মাথা ঘুরবে!
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বিপুল পরিমাণ টাকা যা উদ্ধার হয়েছে তার উৎস কী? মোদি বলেছিলেন কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে সব। আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে৷ অবিচার হয়ে থাকে। তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করবে না। মমতা বন্দোপাধ্যায় যা বলেছিলেন আজ তা তিনি করে দেখিয়েছেন। অর্থ রোজগারের মেকানিজম হলে দল সমর্থন করবে না।''
শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, পরিষদীয় দফতর, এই তিন দফতর থেকেই অপসারণ করা হয়েছে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে পার্থবাবুর কাছে যে দফতরগুলি ছিল, তার দায়িত্বে আপাতত থাকছেন তিনিই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ''পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে আসছে। হয়ত কিছুই করব না, কিন্তু যেহেতু যতক্ষণ নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন না করছি... তাই পার্থদাকে রেহাই দিয়েছি। এই দফতরগুলো আমার কাছে এসেছে।'' এর পরই নবান্নে যে ঘরে বসতেন পার্থবাবু সেখান থেকে তাঁর নেম প্লেট খুলে ফেলা হয়৷