সম্প্রতি শাশুড়ি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে যে সে তাঁর স্বামী সূর্যকে নিজের মায়ের কাছে যেতে দেয়নি। শাশুড়ি খুব জেনেও নাকি সে খবর দেয়নি তার স্বামীকে। কিন্তু এ সবই মিশকার নতুন চাল। সূর্য ওরফে দীপার ডাক্তারবাবুও মিশকা এবং নিজের মায়ের কথা বিশ্বাস করেছে। স্বামীর চোখে নিজের প্রতি অবিশ্বাস দেখতে পেয়েছে দীপা। আর তাই জন্যই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সে।
advertisement
নাম দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাওয়ার আর্ট কম্পিটিশনে। অর্থাৎ ফুল দিয়ে শিল্পের প্রতিযোগিতা। কিন্তু ভাগ্যের লিখন কে টলাবে! সেই প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক তার শাশুড়ি, লাবণ্য সেনগুপ্ত। যে মনে করে, সেনগুপ্ত পরিবারের বৌমা হতে গেলে তাকে সুন্দরী, ফর্সা হতে হবে। কিন্তু দীপার গায়ের রং যে শ্যামলা। দীপাকে যে একেবারে সহ্য করতে পারে না। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় বিচারকরা বিচারের আগে প্রতিযোগীর নাম জানতে পারবে না। ফলে ফুল দিয়ে পরিবারের অবয়ব সৃষ্টি করে দীপা সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। না জেনেই লাবণ্য তার বৌমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। বলে, ''খুবই সাধারণ একটি ভাবনা বলেই এত অসাধারণ একটি সৃষ্টি। আমাদের চোখ আটকে গিয়েছে এই শিল্পকর্মে।'' কিন্তু শিল্পীর নাম উচ্চারণ করতে গিয়েই চমকে যায় সে। এ যে তারই বড় ছেলের বউ।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার অন্য ভাষা! বয়স যখন হার মানে প্রেমের কাছে, স্বামীর জন্মদিনে 'সোহাগে আদরে' পোস্ট দোলনের...
সেই প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার, বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং মধুমিতা সরকার। ইন্দ্রাণী তাঁর বন্ধু লাবণ্যকে বলেন, ''দীপা যে তোমার যোগ্য উত্তরসূরী অর্থাৎ পুত্রবধূ, তা এর আগেও প্রমাণ করেচে, আজও করল, তাই না?'' ইন্দ্রাণীর কথায়, ''আমাদের পরিবারের প্রত্যেকেই কিন্তু এক একটি ফুলের মতো। কারও রং সুন্দর, কারও গন্ধ সুন্দর। তাই সবাই যখন আমরা একসঙ্গে হই, কী দারুণ একটা ব্যাপার হয়, তাই না বলুন?''
আগামী ১৫ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে ইন্দ্রাণী অভিনীত ছবি 'কুলের আচার'। তাই তাঁর সঙ্গে ছবির নায়ক-নায়িকা, অর্থাৎ পর্দায় ইন্দ্রাণীর ছেলে আর ছেলের বউ প্রীতম এবং মিঠি রূপে হাজির হলেন বিক্রম-মধুমিতা।
আরও পড়ুন: নতুন মুখ নিয়ে, নতুন সাজে আসছে জি বাংলার ধারাবাহিক 'গৌরী এল'
একইসঙ্গে নতুন এক চরিত্র আসবে এই ধারাবাহিকে। দীপার খুব পছন্দের এক কবি, কবীর। প্রতিযোগিতা জেতার উপলক্ষে কবীর তার একটি কবিতার বই উপহার করে দীপাকে। তাকে দেখেই আপ্লুত দীপা। কিন্তু তা দেখে মোটেও খুশি নয় সূর্য। তবে কি তার মনে প্রেমের হিংসার ঝলক দেখা গেল? অন্য পুরুষের প্রতি স্ত্রীর মুগ্ধতা কি কোথাও গিয়ে দুর্বল করে দিল দীপার ডাক্তারবাবুকে? দীপা কি কবীরের প্রেমে পড়বে?