আরও পড়ুন: চ্যাপলিন পরিবারে আর এক নক্ষত্র পতন, চলে গেলেন চার্লি-কন্যা অভিনেত্রী জোসেফিন
ছেলেবেলার প্রেমিকা, স্ত্রী, একমাত্র ছেলের মা পম্পির হারিয়ে বিষন্ন সৌমেনের মাথায় জেদ চেপে বসে। স্ত্রীকে নিয়ে একটা তথ্যচিত্র বানাতে চান, যেখানে তিনি পম্পির মতো আরও কিছু ক্যানসার যোদ্ধার গল্প বলবেন। যোগাযোগ শুরু করেন অনুরাগ বসু থেকে আমির খান পর্যন্ত। কোথাও কোনও সাড়া মেলে না।
advertisement
আরও পড়ুন: পর্দায় যেন এক অন্য নিশো! বহু প্রতীক্ষিত ‘সুড়ঙ্গ’ কেমন হল? প্রত্যাশা পূরণ হল কি
এর পরই উত্তরবঙ্গের চিত্রপরিচালক অভ্রদীপের খোঁজ পান সৌমেন। যিনি নিজেও জিভের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। সৌমেনের স্ত্রীকে নিয়েই ছবির কাজ শুরু হয়। অভ্রদীপ ও পদ্মপর্ণা শুরু করেন ফিল্ম উইদিন দ্য ফিল্ম। কলকাতার বিখ্যাত অঙ্কোলজিস্ট ড: সায়ন পাল, অভিনেতা চন্দন সেন, আরও বেশ কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বের উপস্থিতিতে শুরু হয় এক নতুন ছবি। একজন ক্যানসার জয়ী, অভ্রদীপ এক সচেতনতা মূলক ছবি তৈরির চেষ্টা করলেন ক্যানসারে প্রয়াত এক নারীর উদ্দেশে। আর এই ছবি তৈরির চেষ্টা নিয়েই জন্ম হল ‘লিভিং অন আ জেট প্লেন, আ ক্যানসার ওয়ার অ্যান্ড পিস স্টোরি’।
অভ্রদীপের প্রথম পরিচালনা ‘টান’, একটি স্বল্পদৈর্ঘের ছবি যা ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় আইফোন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছিল। এছাড়াও তাঁর ৭টি স্বল্পদৈর্ঘের ছবির, ২টি পুর্ণদৈর্ঘের ছবি, ২৪টি আন্তর্জাতিক ফেস্টিভ্যালে স্ক্রিনিং ও ৯টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। অন্যদিকে পদ্মপর্ণা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক, অভ্রদীপের একাধিক কাজে তাঁর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। এই ছবিতে সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন চিত্রগ্রাহক অভিরূপ গঙ্গোপাধ্য়ায়