এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘সন্দেশখালি কেউ ভাবতে পেরেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এসে কাঁদছেন। একবারও বুঝতে পেরেছিলেন কীভাবে সাজিয়েছিল সন্দেশখালি? টাকা দিলে টাকা পাওয়া যায়। মায়েদের আত্মসম্মান গেলে তা পাওয়া যায় না। বিজেপিকে সতর্ক করছি।’’
শনিবার সকালে ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নামে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, ওই ভিডিয়োর মাধ্যমেই সন্দেশখালিতে বিজেপির ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে আসা স্টিং অপারেশনের ভিডিয়োয় ওই নেতা সন্দেশখালি-২ ব্লকে বিজেপির ‘মণ্ডল সভাপতি’ গঙ্গাধর কয়াল বলে দাবি করা হয়েছে।
advertisement
মমতার মন্তব্য, ‘‘বিজেপিকে উৎখাত না করে আমি যাব না। যেমন সিপিএমকে উৎখাত করেছিলাম। সব বিজ্ঞাপন নস্যাৎ করে বলছি, সব মিথ্যা। আগের বার বলেছিলেন ২০০ পার। এবার বলছেন দেশে ৪০০ পার। পগার পার হয়ে যাবেন।’’
আরও পড়ুন: বীরভূমে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ কমিশনের, কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারেও নির্দেশিকা
ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আড্ডার ছলে প্রশ্নকর্তাকে জবাব দিচ্ছেন গঙ্গাধর কয়াল। সেই কথোপকথনে বার বার উঠে এসেছে শুভেন্দুর নাম। গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই আন্দোলন (সন্দেশখালির আন্দোলন) এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টা পরিচালনা করছে। শুভেন্দুদার আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দুদা এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ ভিডিয়োয় গঙ্গাধরের ‘স্বীকারোক্তি’, ‘‘শুভেন্দুদা টাকা আর মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়েছেন। কারণ, এই ধরনের কাজ খালি হাতে হয় না।’’
ভিডিওটি প্রকাশ্য আসার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপির মনে বাংলা-বিরোধী মনোভাব আর বাংলার প্রতি ঘৃণা কতটা গভীর, তা এই ষড়যন্ত্রে স্পষ্ট। ভারতের ইতিহাসে আগে কখনও দিল্লির শাসকদল এ ভাবে আমাদের রাজ্যকে অসম্মানিত করার চেষ্টা করেনি। কিন্তু এর পর বাংলা এর জবাব দিতে যে ভাবে জাগবে, তা ইতিহাস তৈরি করবে।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির যে কেন্দ্রীয় নেতারা লাগাতার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে বাংলার ‘বদনাম’ করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপি অবশ্য ভিডিয়োটিকে ‘ভুয়ো’ এবং ‘বিকৃত’ বলে দাবি করেছে। সিবিআই তদন্ত চেয়েছে তারা।