গঙ্গার ঘাটে নেই কোনও কোলাহল, বারাণসী জুড়ে বিরাজ করছে যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা; হঠাৎ কী এমন হল?

Last Updated:
Weather Effect: এমনিতে ভোর হতে না হতেই জেগে ওঠে বারাণসীর ঘাটগুলি। কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে গঙ্গার ঘাট। তবে সেখানেই যেন নৈঃশব্দ বিরাজ করছে।
1/6
দেশ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্ধ্বগামী। জায়গায় জায়গায় চল্লিশ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে তাপমাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের মতোই হাঁসফাঁস করছে উত্তরপ্রদেশও। আর সেই রাজ্যের বারাণসীতেই তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গঙ্গার ঘাটই হোক আর শহরের রাস্তাঘাটই হোক - প্রায় সব জায়গাই জনশূন্য!
দেশ জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত। তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্ধ্বগামী। জায়গায় জায়গায় চল্লিশ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে তাপমাত্রা। পশ্চিমবঙ্গের মতোই হাঁসফাঁস করছে উত্তরপ্রদেশও। আর সেই রাজ্যের বারাণসীতেই তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে। গঙ্গার ঘাটই হোক আর শহরের রাস্তাঘাটই হোক - প্রায় সব জায়গাই জনশূন্য!
advertisement
2/6
এমনিতে ভোর হতে না হতেই জেগে ওঠে বারাণসীর ঘাটগুলি। কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে গঙ্গার ঘাট। তবে সেখানেই যেন নৈঃশব্দ বিরাজ করছে। বারাণসীর অস্সি ঘাট, তুলসী ঘাট, কেদার ঘাট, দশাশ্বমেধ ঘাট, ললিতা ঘাট, নমো ঘাট-সহ প্রায় সমস্ত ঘাটের চিত্রই একই!
এমনিতে ভোর হতে না হতেই জেগে ওঠে বারাণসীর ঘাটগুলি। কোলাহলমুখর হয়ে ওঠে গঙ্গার ঘাট। তবে সেখানেই যেন নৈঃশব্দ বিরাজ করছে। বারাণসীর অস্সি ঘাট, তুলসী ঘাট, কেদার ঘাট, দশাশ্বমেধ ঘাট, ললিতা ঘাট, নমো ঘাট-সহ প্রায় সমস্ত ঘাটের চিত্রই একই!
advertisement
3/6
প্রতিদিনই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত রীতিমতো জনশূন্য থাকছে এই ঘাটগুলি। দেখে যেন মনে হচ্ছে, সেখানে কোনও কার্ফু জারি করা হয়েছে। তবে বিষয়টা সেরকম নয়। প্রখর রোদের তেজই এই অবস্থার কারণ। আসলে সকাল হতে না হতেই যেন আগুন ঝরাতে থাকে সূর্য। তবে শুনসান এই ঘাটেই কয়েক জনকে ছায়ায় আশ্রয় নিতে দেখা গেল।
প্রতিদিনই সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত রীতিমতো জনশূন্য থাকছে এই ঘাটগুলি। দেখে যেন মনে হচ্ছে, সেখানে কোনও কার্ফু জারি করা হয়েছে। তবে বিষয়টা সেরকম নয়। প্রখর রোদের তেজই এই অবস্থার কারণ। আসলে সকাল হতে না হতেই যেন আগুন ঝরাতে থাকে সূর্য। তবে শুনসান এই ঘাটেই কয়েক জনকে ছায়ায় আশ্রয় নিতে দেখা গেল।
advertisement
4/6
আর ৬ ঘণ্টা মতো সময় গঙ্গার ঘাটগুলিতে মানুষের আনাগোনা না থাকার কারণে গঙ্গাও যেন নিস্তরঙ্গ। আর বারাণসী তো পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। অথচ এই তীব্র গরমে কেউ বারাণসীতে পা পর্যন্ত রাখছেন না। ফলে ঘাট থেকে বহু দূর পর্যন্ত গঙ্গার ঢেউগুলিও যেন শান্ত হয়ে গিয়েছে। শুধু ঘাটগুলির অবস্থাই শোচনীয় নয়, প্রাচীন এই শহরের রাস্তাঘাটও প্রায় জনশূন্য। প্রতিদিনই দুপুর ১২টার পর পথচারীদের ভিড় কমছে বারাণসীর রাস্তাঘাটেও।
আর ৬ ঘণ্টা মতো সময় গঙ্গার ঘাটগুলিতে মানুষের আনাগোনা না থাকার কারণে গঙ্গাও যেন নিস্তরঙ্গ। আর বারাণসী তো পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। অথচ এই তীব্র গরমে কেউ বারাণসীতে পা পর্যন্ত রাখছেন না। ফলে ঘাট থেকে বহু দূর পর্যন্ত গঙ্গার ঢেউগুলিও যেন শান্ত হয়ে গিয়েছে। শুধু ঘাটগুলির অবস্থাই শোচনীয় নয়, প্রাচীন এই শহরের রাস্তাঘাটও প্রায় জনশূন্য। প্রতিদিনই দুপুর ১২টার পর পথচারীদের ভিড় কমছে বারাণসীর রাস্তাঘাটেও।
advertisement
5/6
তবে এই অবস্থা যে অতি শীঘ্রই কাটবে না, সেই আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদ অধ্যাপক মনোজ কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন যে, গোটা মে মাস জুড়েই বারাণসী জুড়ে তাপপ্রবাহ জারি থাকবে। আর আগামী সময়ে এই পরিস্থিতি আরও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
তবে এই অবস্থা যে অতি শীঘ্রই কাটবে না, সেই আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন আবহাওয়াবিদ অধ্যাপক মনোজ কুমার শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন যে, গোটা মে মাস জুড়েই বারাণসী জুড়ে তাপপ্রবাহ জারি থাকবে। আর আগামী সময়ে এই পরিস্থিতি আরও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠতে পারে।
advertisement
6/6
মনোজ কুমার শ্রীবাস্তবের কথায়, এই পরিস্থিতিতে একান্তই যদি বেরোতেও হয়, তাহলে কিছু খেয়ে বেরোতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এই গ্রীষ্মের মরশুমে খাদ্যতালিকায় ফলমূল এবং শাকসবজি আরও বেশি পরিমাণে যোগ করতে হবে। আর এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মনোজ কুমার শ্রীবাস্তবের কথায়, এই পরিস্থিতিতে একান্তই যদি বেরোতেও হয়, তাহলে কিছু খেয়ে বেরোতে হবে। শুধু তা-ই নয়, এই গ্রীষ্মের মরশুমে খাদ্যতালিকায় ফলমূল এবং শাকসবজি আরও বেশি পরিমাণে যোগ করতে হবে। আর এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
advertisement
advertisement
advertisement