ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন মহিলারা, অন্যদিকে জনজাতি মহিলাদের জন্য ভাতা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা| লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা বাড়ানোয় দারুণ খুশি কিছু মহিলা। এতে রাজ্যের শাসকদলে আশার আলো, প্রচারেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেই অগ্রাধিকার লক্ষ্য করা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
advertisement
তবে অন্যদিকে, কিছু অংশের মহিলারা মনে করছেন ১০০০ বা ১২০০ টাকা পাওয়ার থেকে ভাল কর্মসংস্থান হোক। একাংশের মহিলা রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। তো অন্য অংশের মহিলারা মনে করছেন এই সামান্য অনুদানের থেকে, বেশি প্রয়োজন জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ হওয়া এবং সব মানুষের হাতে কাজ পাওয়া। উভয়দিক গুরুত্ব রেখে, এই ভোটে মহিলাদের অংশগ্রহণ কতটা প্রভাব পড়বে তা বলবে ভোট বাক্সে।
আরও পড়ুন: ডিডি নিউজের লোগোর রংবদল শুরুর ইঙ্গিত, মোদি 3.0 সরকারের আরও বড় পরিকল্পনা প্রস্তুত: এক্সক্লুসিভ
এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শহর থেকে গ্রাম– প্রায় সর্বত্রই বিশেষ করে মহিলাদের প্রভাবিত করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণায় এ বার সেই বরাদ্দ ৫০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা। ইতিমধ্যে এপ্রিল মাস থেকে সেই টাকা ঢুকছে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে। লোকসভার ভোটের আগে এই ঘোযণা তৃণমূলকে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
ফলে মহিলারা আরও বেশি তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই টাকা শুধু মহিলাদের হাত খরচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। এমন দাবি তৃণমূলের। দেখা গিয়েছে, কোনও কোনও পরিবারে মা, মেয়ে ও বৌমা মিলিয়ে তিন থেকে চারজন এই টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকায় সংসার খরচের অনেকটাই সামাল দিচ্ছেন তাঁরা। যে কারণে তাঁরা ভোটে হেরে গেলে এই টাকা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তা অনেককেই প্রভাবিত করছে।
যদিও এর পাল্টা বিজেপির তরফে আরও বেশি টাকা ও বামেদের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থানের কথা বলছেন। আর সেক্ষেত্রে কিছু মহিলারা মনে করছেন মাসে ১০০০ বা ১২০০ টাকা পাওয়ার থেকে ভাল কর্মসংস্থান হোক, বেকারত্বের জ্বালা মিটুক সেটাই চায় তাঁরা। চাকরি করলে ১০০০, ১২০০ টাকার থেকে অনেক বেশি টাকা তাঁরা মাসে উপার্জন করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে স্বচ্ছল হবে অনেক পরিবার।
রাকেশ মাইতি