রাজনীতিতে কাকে পরিবারতন্ত্র বলে তার উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন অমিত শাহ। কারণ ভোটমুখী কর্ণাটকে এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কংগ্রেস সহ বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে, মুখে পরিবারবাদের বিরোধিতা করলেও আসলে গেরুয়া শিবিরেও পরিবারতন্ত্র চালু আছে।
আরও পড়ুন https://bengali.news18.com/news/elections/free-cylinders-milk-and-uniform-civil-code-nrc-is-in-manifesto-of-bjp-for-karnataka-poll-swk-1081303.html BJP Manifesto : কর্ণাটকে ক্ষমতায় ফিরলে এনআরসি, দেওয়ানি বিধির পাশাপাশি বিনামূল্যে সিলিন্ডার, দুধের প্রতিশ্রুতি বিজেপির
advertisement
বিরোধীদের এই অভিয়োগের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তি, ইয়েদুরাপ্পা নিজে নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে তাঁর ছেলের ভোটে দাঁড়ানো কোনও যুক্তিতে পরিবারতন্ত্র হতে পারে না।
বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, কংগ্রেসে, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী আবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-র মত সকলেই পারিবারিক সূত্রে দলের শীর্ষ পদে বা কাছাকাছি স্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
সমাজবাদী পার্টি্তে মুলায়ম সিং যাদবের পর দলের সভাপতি হয়েছেন অখিলেশ যাদব। আবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলে লালুপ্রসাদ যাদবের পর দলের দায়িত্ব পেলেন তেজস্বী যাদব। আবার মহারাষ্ট্রে বালাসাহেব ঠাকরের পর উদ্ধব ঠাকরে এবং তারপরে আদিত্য ঠাকরে। একেই বলে পরিবারতন্ত্র। কোনও এক নেতার ছেলের ভোটে দাঁড়ানো মানেই পরিবারবাদ নয়।ট
এরপর নিজের দলের প্রসঙ্গে অমিত শাহ জানিয়ে দেন, বিজেপি-র সভাপতি ছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি। বেঙ্কাইয়া্ নাইডু. রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, তিনি এবং আপাতত জে পি নাড্ডা দলের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু এরা কেউ তো এক পরিবারের সদস্য নন। এটাই বিজেপির বৈশিষ্ট্য, তাঁরা পরিবারতন্ত্রকে রাজনীতিতে জায়গা দিতে চান না।