উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা সম্পূর্ণরূপে MCQ টাইপ। তাই সর্বভারতীয় পরীক্ষার ধাঁচে মাল্টিপেল সেট করা হচ্ছে। এবং প্রত্যেক পড়ুয়া যাতে আলাদা আলাদা ধরনের প্রশ্ন পায় তাই জন্যেই এই ব্যবস্থা করা।’’
advertisement
শিক্ষা সংসদের পক্ষে দেওয়া বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি রুমে এমন ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বসাতে হবে যাতে প্রত্যেকের আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র হাতে পায়। এবং যদি কোনও পড়ুয়া অনুপস্থিত থাকে তাহলে তার সেই প্রশ্নপত্র সেই টেবিলেই রাখতে হবে । ওই প্রশ্নপত্র অন্য কোনও পরীক্ষার্থীকে দেওয়া যাবে না। বর্তমানে জয়েন্ট, নিট ও ইউজি নেটের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে এই ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানাচ্ছে শিক্ষা সংসদ।
পরীক্ষার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে কতজন পড়ুয়া উপস্থিত থাকবে তা এ বার অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে বলে জানান হয়েছে নয়া বিধিতে। এই উপস্থিতি জানার জন্য শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে একটি পোর্টালও খোলা হয়েছে। আডমিট কার্ডে যদি কোনও পরীক্ষার্থীর বিষয় উল্লেখ না থাকে তাহলে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে। চলতি বছরের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের। পরীক্ষা শুরু সকাল ১০ থেকে। কিন্তু শিক্ষকদের বা পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষা কর্মীদের আসতে হবে সকাল ৭টায়। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। তবে এই পরীক্ষা করবে শিক্ষক শিক্ষিকারা পুলিশ এতে হস্তক্ষেপ করবে না। যদি কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা অভব্য আচরণ বা গন্ডগোল পাকাপার চেষ্টা করে। তাহলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সেমিস্টার ফি বাবদ ২৪০ টাকা করে নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।। তার মধ্যে থেকে শিক্ষা সংসদ নেবে ১৯০ টাকা। আর সেন্টারগুলি পাবে ৫০ টাকা বলে বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।