যদিও অভিন্ন পোর্টালের মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২৪-র ২২ মে হাইকোর্ট থেকে দেওয়া আইনকেই মান্যতা দেওয়া হল তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন। যদি কোনও পরিবর্তন হয় পরবর্তীকালে সেই মতো নির্দেশিকা পরিবর্তন করা হবে। যদিও এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা মুখ খুলতে নারাজ। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, মঙ্গলবার রাতে শেষ হচ্ছে, বর্ধিত আবেদনের শেষ দিন। তার আগেই আশা করা যাচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনও বার্তা বিজ্ঞপ্তি আকারে দেওয়া হবে।
advertisement
রাজ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোন আইনকে মান্যতা দেয় তার দিকে তাকিয়ে আছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদের ভর্তির সিদ্ধান্ত রাজ্যের নির্দেশিকার উপরই নির্ভর করবে।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড দ্বারা পরিচালিত প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার রেজাল্ট এবং জয়েন্টের রেজাল্টও থমকে রয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে রাজ্যের সিদ্ধান্তের উপর অপেক্ষা করতে হবে না।
ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ এর সংরক্ষণ আইনকে মান্যতা দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। অনলাইন ভর্তি পোর্টাল ১৮ জুন থেকে বাংলার ৪৬০টি কলেজে স্নাতক ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। প্রায় ১৮ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত মেধা তালিকা প্রস্তুত করা যাবে না। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে আজই কিছু সিদ্ধান্ত জানাতে পারে উচ্চ শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে।