কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গোটা কাজটি সম্পন্ন করা হবে তা সম্পর্কে ছাত্রছাত্রী এবং কলেজগুলোকে স্পষ্ট কোনো গাইডলাইন দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। আর এই বিষয়কে হাতিয়ার করেই ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে শুরু হয়েছে নয়া তরজা। SFI, AIDSO এর মত বেশ কিছু ছাত্র সংগঠনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কলেজে কলেজে হেল্পডেস্ক খোলার। কলেজে ভর্তি হতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই হেল্পডেস্ক তৈরি করার সিদ্ধান্তে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। ভর্তির গোটা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখার উদ্দেশ্যে যখন গোটা প্রক্রিয়াকে অনলাইন করা হলো তখন অফলাইন হেলপডেস্ক আদৌ কতটা যুক্তিসঙ্গত, উঠছে প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে এই হেল্পডেস্ক এবং তার ফোন নম্বর। কেউ যদি অন্যায়ভাবে টাকা দাবি করে "দেখে নেবেন তারা", দাবি ছাত্র সংগঠনগুলির ।
advertisement
বাম ছাত্র সংগঠন SFI এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে কোন উপায় এবং কি কি নিয়ম এর মধ্যে দিয়ে এই ভর্তি-প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে তা জানানো হয়নি সরকারি তরফে তাই এতে বিভ্রান্ত হতে পারেন ছাত্রছাত্রীরা। আর তাদের বিভ্রান্তির সুযোগ নিয়ে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তরফে তাদের থেকে নেওয়া হতে পারে টাকা। এই বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ায়, সেই কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যার্থে তাদের অধিকার রয়েছে এই হেল্পডেস্ক করার।
আরও পড়ুন: জয়েন্টের রেজাল্টে অদ্ভুত নেমসেক, প্রথম-দ্বিতীয় দু'জনই হিমাংশু শেখর!
পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন AIDSO এর রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়কের দাবি স্বচ্ছতা আনার জন্য হলেও এই অনলাইন নির্ভর ভর্তি প্রক্রিয়ায় সমস্যায় পড়বেন অনেক ছাত্র-ছাত্রী, যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন। তাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার ক্যাফে ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে পরিষেবা নিতে। সেই কারণে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যার্থে তারা কলেজে কলেজে খুলবেন হেল্প ডেস্ক।
আরও পড়ুন: ব্যাগের মধ্যে কী দেখি! তারপর যা বেরোল, চমকে উঠল গোটা চম্পাহাটি
গত 4-5 বছরে বেশিরভাগ কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়াই অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠেছে। আর তারপর থেকে কলেজে গিয়ে অফলাইনে ফর্ম সংগ্রহ করার ছবি এখন প্রায় অমিল। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অফলাইন হেল্প ডেস্ক ছাত্রছাত্রীদের কাছে কি আদৌ কোনো গুরুত্ব পাবে? প্রশ্ন কলেজের তরফেও। পাশাপাশি এই হেল্পডেস্ক এর বিষয়ে কলেজ আদৌ কিছু জানে না, দাবি বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ গৌতম কুণ্ডুর।
স্বচ্ছতা আনার জন্যই অনলাইন নির্ভর এ ভর্তি প্রক্রিয়া আনা হচ্ছে, আগে কোনো সরকার এইভাবে ভাবেনি। বিরোধীদের কাজই কুৎসা করা,তাই তারা সেই কাজ করে গেলেও ছাত্রদের জন্য তারা থাকবেন, দাবি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের।
---সাহ্নিক ঘোষ