প্রথম ১০-এর তালিকায় এত পড়ুয়ার মধ্যে কোথাও নিজের জায়গা করতে পারেনি জলপাইগুড়ির কোনও পড়ুয়াই। তাই সকাল থেকেই মন খারাপ শহরের বাসিন্দাদের। কিন্তু বেলা বাড়তেই প্রকাশ্যে আসে জলপাইগুড়ির চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ার সাফল্যের খবর। বিদ্যা সরকার, ঋক সরকার, সায়ন্তনী রায় ও পায়েল রায়-এরা চারজনই জন্ম থেকেই মূক ও বধির। তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ১৯০, ২২৭, ১৮৪, ২২৮। নম্বর যা-ই হোক না কেন, জন্ম থেকেই নিজেদের মতো করেই লড়াই চালাচ্ছে এরা।
advertisement
আরও পড়ুন : গরমে উপকারী হলেও ব্লাড সুগারে কি মিছরি খাওয়া যায়? মিছরি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? জানুন
বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অসীম ইচ্ছে। আর এতেই খুশির আমেজ শহর জুড়ে। এ যেন খরার মধ্যেও এক চিলতে বৃষ্টি। জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা ঋক সরকারের এই সাফল্যে খুশি তার মা এবং পরিবারের সকলে। অন্যদিকে, নেতাজি পাড়া পরেশ মিত্র কলোনির বাসিন্দা বিদ্যা সরকারের বাড়িতেও উৎবের আমেজ। তবে, এখনও অনেকটা পথ পেরিয়ে যাওয়া বাকি। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পুলিশ হতে চায় বিদ্যা। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হার না মানা লড়াই চালাচ্ছে এদের প্রত্যেকেই। এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ জলপাইগুড়িবাসী।