TRENDING:

Cooch Behar News: ২০ বছর পার, নেন না এক পয়সাও! মিলন মাস্টারের গল্পে চমকে উঠবেন

Last Updated:

আজ থেকে ২০ বছর আগের কথা। তবে সেই যে যাত্রা শুরু স্কুলে শিক্ষকতার। এখনও মৃত্যুঞ্জয়বাবু স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করে চলছেন ওই স্কুলেই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বক্সিরহাট: সরকারি এই প্রাথমিক স্কুলের নাম মহিষকুচি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। ভাইপোকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয় লাহিড়ী ওরফে মিলন লাহিড়ী। সেই সময় দেখেন স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচশো কিন্তু, শিক্ষকের সংখ্যা চার এবং ক্লাস ঘরের সংখ্যা পাঁচ। খুব স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষকদের ওপর চাপ বড্ড বেশি। কথায় কথায় প্রধান শিক্ষক তারা প্রসাদ ভট্টাচার্য, মৃত্যুঞ্জয় বাবুর কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। মৃত্যুঞ্জয় বাবু তখন কিছু ছাত্র পড়িয়ে রোজগার করেন, পড়ানোই তার একমাত্র নেশা। তাই প্রধান শিক্ষকের ডাকে সাড়া দিতে তিনি দ্বিধা বোধ করেননি বিন্দুমাত্র।
advertisement

এসব ২০০২ অর্থাৎ আজ থেকে ২০ বছর আগের কথা। কিন্তু, সেই যে যাত্রা শুরু স্কুলে শিক্ষকতার। এখনও মৃত্যুঞ্জয় বাবু স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করে চলছেন ওই স্কুলেই। এলাকায় তিনি বহুল পরিচিতি মিলন মাস্টার নামে। সেই যে বাঁধা পড়েছেন তা আর কাটানো যায়নি। বর্তমানে তার বয়স ৬৫ বছর। চাকরির বয়স পার হয়েছে অনেক আগেই। স্থানীয়দের দাবি তিনি মানুষ গড়ার কারিগর তাই তাঁকে সম্মানিত করুক সরকার।

advertisement

আরও পড়ুন: 'সঙ্গ দোষে মানুষ ফ্রাস্ট্রেশনে চলে যায়', কার উদ্দেশ্যে বললেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা

বক্সিরহাট থানার শালডাঙ্গার বাসিন্দা স্নাতক মৃত্যুঞ্জয় বাবু প্রতিদিন সকাল ৯ টা বাজলেই স্নান সেরে তৈরি হয়ে স্কুলে চলে যান। সবার আগে স্কুলে গিয়ে ক্লাস ঘরের তালা খোলেন। নিয়মিত অঙ্ক, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় ক্লাস নেন। নেশার টানে স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করছেন। ফলে রোজগারের জন্য অন্য কোন উৎসের খোঁজ করতে পারেনি। এখনো প্রাইভেট টিউশনি করেই নিজের খরচ চালাতে হয় তাকে। ২০ বছর ধরে যে শ্রদ্ধা এবং সম্মান তিনি পেয়েছেন তা যেকোন সরকারি সম্মানের চেয়েও অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে স্কুলের ছাত্রের সংখ্যা ২১০ জন হলেও, শিক্ষক সংখ্যা রয়েছে ৫ জন । তবুও তিনি নিয়মত স্কুলে এসে পড়ান পড়ুয়াদের।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: 'মা জন্ম দেন আর শিক্ষক জীবন', শিক্ষক দিবসে মোদির বার্তা

অভিভাবকরা তাঁকে মানেন, পড়ুয়ারাও তাঁকে ভালবাসেন। তাই সবার সমস্যা অভিযোগের সমাধান মূলত তাঁকেই করতে হয়। বর্তমানে স্কুল তার কাছে তার কাছে একমাত্র সংসার কিংবা বাসস্থান। তাই স্বেচ্ছায় কাজের দায়িত্ব একটু বেশিই নিয়েছেন। অসুস্থ না হলে সহকর্মীরা অবসর নেবেন। কিন্তু তার অবসরের কোন বয়স নেই। নিতেও চান না। আমৃত্যু পড়িয়ে যাবেন এই স্কুলেই এমনটাই ইচ্ছে তার। আর গ্রামবাসীরা চান, ভালবেসে যিনি বিনা পারিশ্রমিকে দীর্ঘ কুড়ি বছর স্বেচ্ছায় মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছেন তাঁকে সরকার যে কোনও ভাবে স্বীকৃতি দিক বা সম্মানিত করুক।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নবাবের শহর থেকে রাজধানীর পথে মুর্শিদাবাদের রুদ্রাক্ষী, স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে জীবনযুদ্ধে জয়
আরও দেখুন

সার্থক পণ্ডিত

বাংলা খবর/ খবর/চাকরি ও শিক্ষা/
Cooch Behar News: ২০ বছর পার, নেন না এক পয়সাও! মিলন মাস্টারের গল্পে চমকে উঠবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল