এসব ২০০২ অর্থাৎ আজ থেকে ২০ বছর আগের কথা। কিন্তু, সেই যে যাত্রা শুরু স্কুলে শিক্ষকতার। এখনও মৃত্যুঞ্জয় বাবু স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করে চলছেন ওই স্কুলেই। এলাকায় তিনি বহুল পরিচিতি মিলন মাস্টার নামে। সেই যে বাঁধা পড়েছেন তা আর কাটানো যায়নি। বর্তমানে তার বয়স ৬৫ বছর। চাকরির বয়স পার হয়েছে অনেক আগেই। স্থানীয়দের দাবি তিনি মানুষ গড়ার কারিগর তাই তাঁকে সম্মানিত করুক সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন: 'সঙ্গ দোষে মানুষ ফ্রাস্ট্রেশনে চলে যায়', কার উদ্দেশ্যে বললেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা
বক্সিরহাট থানার শালডাঙ্গার বাসিন্দা স্নাতক মৃত্যুঞ্জয় বাবু প্রতিদিন সকাল ৯ টা বাজলেই স্নান সেরে তৈরি হয়ে স্কুলে চলে যান। সবার আগে স্কুলে গিয়ে ক্লাস ঘরের তালা খোলেন। নিয়মিত অঙ্ক, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় ক্লাস নেন। নেশার টানে স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা করছেন। ফলে রোজগারের জন্য অন্য কোন উৎসের খোঁজ করতে পারেনি। এখনো প্রাইভেট টিউশনি করেই নিজের খরচ চালাতে হয় তাকে। ২০ বছর ধরে যে শ্রদ্ধা এবং সম্মান তিনি পেয়েছেন তা যেকোন সরকারি সম্মানের চেয়েও অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে স্কুলের ছাত্রের সংখ্যা ২১০ জন হলেও, শিক্ষক সংখ্যা রয়েছে ৫ জন । তবুও তিনি নিয়মত স্কুলে এসে পড়ান পড়ুয়াদের।
আরও পড়ুন: 'মা জন্ম দেন আর শিক্ষক জীবন', শিক্ষক দিবসে মোদির বার্তা
অভিভাবকরা তাঁকে মানেন, পড়ুয়ারাও তাঁকে ভালবাসেন। তাই সবার সমস্যা অভিযোগের সমাধান মূলত তাঁকেই করতে হয়। বর্তমানে স্কুল তার কাছে তার কাছে একমাত্র সংসার কিংবা বাসস্থান। তাই স্বেচ্ছায় কাজের দায়িত্ব একটু বেশিই নিয়েছেন। অসুস্থ না হলে সহকর্মীরা অবসর নেবেন। কিন্তু তার অবসরের কোন বয়স নেই। নিতেও চান না। আমৃত্যু পড়িয়ে যাবেন এই স্কুলেই এমনটাই ইচ্ছে তার। আর গ্রামবাসীরা চান, ভালবেসে যিনি বিনা পারিশ্রমিকে দীর্ঘ কুড়ি বছর স্বেচ্ছায় মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছেন তাঁকে সরকার যে কোনও ভাবে স্বীকৃতি দিক বা সম্মানিত করুক।
সার্থক পণ্ডিত





