মিলল সম্মান: এসপি সুধীর চৌধুরীর হাতে একটি প্রশংসাপত্র তুলে দিয়ে তাঁকে সম্মান জানিয়েছেন জেনারেল দ্বিবেদী। মূলত অপারেশন সিঁদুরের সময় দুর্ধর্ষ লিডারশিপ, সমন্বয় সাধন এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্যই এই সম্মান পেয়েছেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা বর্ণনা করেছেন সেনাপ্রধান।
advertisement
আইআইটি থেকে বি.টেক: আইপিএস অফিসার সুধীর ইউপিএসসি-তে ১৮৫-তম র্যাঙ্ক করেছিলেন। তিনি রাজস্থানের শিকার জেলার শ্রীমাধোপুর তেহসিলের বাগারিয়া বাস গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবা লক্ষ্মণ রাম আবার কৃষি দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। শ্রীমাধোপুরেই সুধীরের প্রাথমিক স্কুলের পাঠ সম্পন্ন হয়েছিল। পরে তিনি বুন্দি, জয়পুর এবং কোটায় গিয়ে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। আইআইটি রুরকি থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়েছিলেন সুধীর। সেখান থেকেই বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন– জ্যেষ্ঠ সন্তানকে জ্যৈষ্ঠ মাসে দিন এই ৫ জিনিস, তার যেমন উন্নতি হবে, সুফল আসবে পরিবারেও
আইএফএস থেকে আইপিএস: আইআইটি রুরকি থেকে বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করার পর এক বছরের জন্য কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করেছিলেন সুধীর। কিন্তু পুলিশ পরিষেবায় যোগ দেওয়াই ছিল তাঁর আসল স্বপ্ন। ২০১২ সালে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস-এ সিলেক্টেড হন তিনি। তারপরের বছরই ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস (আইএফএস)-এ নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফল মিলেছিল। ফলে ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস)-এ নির্বাচিত হন। ২০১৫ ব্যাচের রাজস্থান ক্যাডারে যোগ দেন সুধীর। ইন্ডিয়ান পুলিশ অ্যাকাডেমিতে টেনিস সিঙ্গলস-এ স্বর্ণপদক জয় করেন তিনি।
দেশের সঙ্কটের কালে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে একসঙ্গে কাজ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার প্রতীক হিসাবেই এসপি সুধীর চৌধুরীকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। এই অপারেশন সিঁদুর ভারতের সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের জন্যই ছিল না, সেই সঙ্গে এই অভিযান সিভিল মিলিটারি অপারেশনের সাফল্যের দৃষ্টান্তও হয়ে উঠেছে।