বাবা চন্দ্র বাহাদুর রাই চা শ্রমিক। বাড়িতে জয়বাহাদুর রাইয়ের একটি ভাই রয়েছে। স্নাতকত্তোর পরীক্ষার পর থেকে রিসার্চ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। তার জন্য পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে।বিগত বছরগুলিতে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি রিসার্চ চালিয়ে যাবার জন্য এবছর এই পরীক্ষা দিয়েছিল সে।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঠফাটা গরমে 'কম্বল' বিক্রি...? বৃদ্ধের কাণ্ডে তোলপাড় নেটপাড়া! কারণ শুনে চক্ষুচড়কগাছ!
ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিল জয় বাহাদুর। দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করে তাঁর পড়াশুনো। বাবা চা বাগানের শ্রমিকের কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁদের সংসারে ঘনিয়ে আসে আরও দারিদ্রতা।জয় বাহাদুর টিউশন করে নিজের পড়াশুনো চালিয়েছে।
পাশাপাশি সংসার চালানোর জন্য একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করত সে। তার পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের বাসিন্দারা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। জয়বাহাদুর রাই জানান, "অনেক বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন পরীক্ষায় বসছিলাম। এবারে এই পরীক্ষা দিই। সাফল্য পাব বুঝতে পেরেছিলাম। খুব খুশি আমি ও আমার পরিবার।"
অনন্যা দে