কাঠফাটা গরমে 'কম্বল' বিক্রি...? বৃদ্ধের কাণ্ডে তোলপাড় নেটপাড়া! কারণ শুনে চক্ষুচড়কগাছ!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Viral || Trending News:মুঙ্গেরে গেলেই এখন এক বৃদ্ধকে মাথায় বান্ডিল নিয়ে লাঠির সাহায্যে রাস্তায় নেমে কম্বল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
ট্রেন্ডিং নিউজ: আজকাল রাস্তায় প্রায়ই এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন মুঙ্গেরবাসী। এই প্রচণ্ড গরম আর প্রখর রোদে যেখানে মানুষ এসি, কুলারের ছায়া থেকে বেরোতে চাইছেন না সেখানে ৮৫ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ রাস্তায় কম্বল বিক্রি করছেন। মুঙ্গেরে গেলেই এখন এক বৃদ্ধকে মাথায় বান্ডিল নিয়ে লাঠির সাহায্যে রাস্তায় নেমে কম্বল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, তাঁর নাম নাথুনি পাল। তিনি ভাগলপুরের শাহকুন্ড ব্লক এলাকার জাগারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের পৈতৃক ব্যবসা হল কম্বল তৈরি ও বিক্রি করা। ৮৫ বছর বয়সি নাথুনি পাল প্রতিদিন তাঁর গ্রাম থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে মুঙ্গেরে পৌঁছন। এখানে আসারগঞ্জ, তারাপুর ও সাংরাপুর এলাকায় ঘুরে ঘুরে কম্বল বিক্রি করেন।
advertisement
advertisement
সারা বছর আবহাওয়া যেমনই থাক, নাথুনি পাল প্রতিদিনই মাথায় কম্বলের বোঝা নিয়ে বিক্রি করতে বের হন।
advertisement
নাথুনি পাল জানিয়েছেন, যে পাল সম্প্রদায়ে তাঁর জন্ম সেখানে একেবারে ছোট থেকেই তিনি কম্বল তৈরির কাজ শিখেছেন। এটিই তাঁর পৈতৃক পেশা। এজন্য তিনি সারা বছর ধরেই কম্বল তৈরি করে বিক্রি করেন। এছাড়া অন্য কোনও কাজও তাঁর জানা নেই। খানিকটা অসহায় হয়েই তাঁকে সময়-অসময়ে কম্বল বিক্রি করে যেতে হয়। এই টাকাতেই সংসারের দেখভালের দায়িত্বও তার। তিনি আরও জানান, শীতকালে যে কম্বল বিক্রি হয় ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়, গ্রীষ্মের মরশুমে সেই কম্বলই মাত্র ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়।
advertisement
নাথুনি জানিয়েছেন, তিনি কম্বল তৈরির কাজ ছাড়া কৃষিকাজও জানতেন, তবে এই বয়সে পৌঁছে এই কাজ ছাড়তে পারছেন না। কম্বল বিক্রি করাই এখন তাঁর অগ্রাধিকার, এর মাধ্যমেই তিনি বেঁচে থাকেন। গরমের সময় কম্বলের দাম কম থাকায় বিক্রির পরিমাণও বেশি। তাই শীত হোক বা গ্রীষ্ম, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন কম্বল বিক্রি করে যাবেন।
Location :
Bihar Sharif,Nalanda,Bihar
First Published :
April 24, 2023 4:50 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
কাঠফাটা গরমে 'কম্বল' বিক্রি...? বৃদ্ধের কাণ্ডে তোলপাড় নেটপাড়া! কারণ শুনে চক্ষুচড়কগাছ!