মূল কারণ—ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা। হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে এই বিষয়ে। আর সেই রায় ঘিরেই জটিলতা তৈরি হয়েছে গোটা ভর্তি প্রক্রিয়ায়। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলেও বিকাশ ভবনের নির্দেশে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। একাধিক সরকারি কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে। শিক্ষা দফতরের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে টানা বৈঠক চলছে, কিন্তু এখনও কোনও সমাধান মেলেনি।
advertisement
১১৫ বছর বাঁচতে চান? বিজ্ঞানীরা বলে দিলেন সহজ ৫ ‘উপায়’! সঙ্গে প্লেট থেকে বাদ দিন এই ৩ জিনিস!
স্বামী টয়লেটে গেলে স্ত্রী হাতে পেলেন মোবাইল ফোন, ‘আনলকড’…! তার পর যা দেখলেন, পরিণতি হল মারাত্মক!
জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে রাজ্য সরকার যে ৭% ওবিসি সংরক্ষণের নিয়ম চালু করেছিল, সেটিকেই আইনের চোখে ‘অবৈধ’ বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পুরনো নিয়মেই ফিরতে হবে সরকারকে? এই অনিশ্চয়তা থেকেই ভর্তিতে বাধা।
এই প্রসঙ্গে JU টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (JUTA) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, “উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের পরপরই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেত। কিন্তু এবার ওবিসি ক্যাটাগরি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে—কারা সেই তালিকায় পড়বেন, কতজন ভর্তি হবেন, সেই বিষয়েই সিদ্ধান্তহীনতা। আমরা বারবার উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়ে জানাতে বলেছি, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কোনও উত্তরই দিচ্ছে না তাঁরা। ফলে যাদবপুর সহ একাধিক সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে।”
গোল, ছোট, নাকি টানা টানা? চোখ দেখেই বুঝবেন কে, কেমন মানুষ…! মিলিয়ে নিন বৈশিষ্ট্যগুলো
কলেজ অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় বলছেন, “এখন ভর্তি হয় সেন্ট্রালাইজ পোর্টালের মাধ্যমে। উচ্চশিক্ষা দফতর যে ইনপুট চেয়েছে, আমরা সব দিয়েছি। কিন্তু এই ওবিসি সংরক্ষণ মামলার জন্য সবার অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই সরকারের শুভ বুদ্ধি হোক।”
অধ্যাপকদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিক্ষাবর্ষ শুরু বেশ খানিকটা পিছিয়ে যেতে পারে, যার প্রভাব পড়বে গোটা শিক্ষাব্যবস্থায়।
মূল সংকট:
* হাইকোর্টে রাজ্যের ৭% ওবিসি সংরক্ষণ অবৈধ ঘোষিত
* কেন্দ্রীয়কৃত ভর্তি পোর্টালেও থমকে ভর্তি প্রক্রিয়া
* শিক্ষাদফতর এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোনও দিশা দেয়নি
* শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা