স্বামী টয়লেটে গেলে স্ত্রী হাতে পেলেন মোবাইল ফোন, 'আনলকড'...! তার পর যা দেখলেন, পরিণতি হল মারাত্মক!

স্বামী টয়লেটে যেতেই ফোন হাতে পেলেন স্ত্রী। ফোন ঘাঁটতেই বেরিয়ে পড়ল পুরনো সেই ছবি। ফোনের স্ক্রিনে ফুটে ওঠে অতীতের এক মুহূর্ত—যেখানে তাঁর স্বামী অন্য এক মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে। (Representative Image: AI)

শুরুটা ছিল নিছক কৌতূহল। স্বামী টয়লেটে গেছেন, সময়টা যেন একেবারে নিখুঁত। হাতের মোবাইলটা পড়ে ছিল বিছানায়, আনলক অবস্থায়। তাঁর চোখ আটকে গেল একটি ছবিতে। তবে এই ছবি শুধু অতীত নয়, হয়তো ভবিষ্যতের অশনি সংকেতও। মন জুড়ে বসে গেল সন্দেহের বিষ। (Representative Image: AI)

না, এই সম্পর্ক আর আগের মতো নেই — এমনই ভাবতে শুরু করলেন স্ত্রী। তাঁর রাগ, অবিশ্বাস আর ব্যথা মিশে গিয়ে তৈরি করল এক বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত। নিজেকে রক্ষার বদলে, তিনি তৈরি করলেন এক ষড়যন্ত্রের জাল—যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। (Representative Image: AI)

২৬ বছরের এক বিবাহিতা মহিলা, হঠাৎই স্বামীর মোবাইলে খুঁজে পেলেন একটি ছবি। যদিও সেটা ছিল পুরনো ছবি, বিয়ের আগের সময়ের। তবুও, স্ত্রীর মনে জেগে ওঠে সন্দেহের দানা। তিনি দেখলেন, আজও তাঁরা একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন। (Representative Image: AI)

এরপর তিনি কোনও কথোপকথনের পথ না বেছে, নামলেন প্রতিশোধের পথে। প্রথমে স্বামীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেন তিনি। তারপর সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই পাঠাতে থাকেন অশালীন বার্তা, স্বামীর নামেই। অপর মহিলাটি বিরক্ত হয়ে সেই অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেন। (Representative Image: AI)

কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি স্ত্রী। তিনি এবার সেই মহিলার নাম ও ছবি ব্যবহার করে খুলে ফেলেন একটি ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। সেখানে আপলোড করেন বিকৃত ছবি। নিজের স্বামীকেও পাঠান ফলো রিকোয়েস্ট সেই ফেক প্রোফাইল থেকে—তাঁর প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য। (Representative Image: AI)

স্বামী জানতেনই না তিনি ব্লকড হয়েছেন, বা ওই প্রোফাইলটি আদৌ কে চালাচ্ছে। মহিলা যখন নিজের বিকৃত ছবি দেখতে পান, তখনই পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন। (Representative Image: AI)

দিল্লির ঘাজিপুরের এই ঘটনায় তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। যে নম্বর দিয়ে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়েছিল, তা ট্র্যাক করে পৌঁছে যায় অভিযুক্ত মহিলার ঠিকানায়। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। (Representative Image: AI)

প্রাথমিক জেরাতেই তিনি স্বীকার করেন সমস্ত কৃতকর্মের কথা। জানান, তাঁর সন্দেহ ছিল স্বামী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তাই এই কাজ করেছেন। (Representative Image: AI)

দিল্লি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও মানহানির ধারায় মামলা রুজু করেছে। এক মুহূর্তের রাগ, একটি সন্দেহ—ভাঙন ধরিয়ে দিল বিশ্বাসের ভিতরেও। যেখানে কথোপকথন হতে পারত সমাধান, সেখানে প্রতিশোধ বেছে নেওয়া হয়ে উঠল চরম ভুল। (Representative Image: AI)