পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কলম ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার পরিবর্তে পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করছেন ইউজ-অ্যান্ড-থ্রো নতুন পেন। তবে সেই পেনে কালি ঠিকমতো পড়ছে না বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীক্ষার্থীরা। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, দীর্ঘ সময় ধরে নিম্নমানের পেন ব্যবহার করে কীভাবে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে! বারাসাতে এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে পেন বিতর্ক। কর্তৃপক্ষের দেওয়া কলম নিয়েই ক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
অন্যদিকে জেলার বেশ কিছু কেন্দ্রে আবার পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কলম পরীক্ষা করে হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে অভিভাবকদের একাংশের প্রশ্ন এক এক কেন্দ্রে এক এক নিয়ম কেন হবে! বারাসাত থানার অন্তর্গত চারটি প্রধান কেন্দ্র হল বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজ, বারাসাত ইভিনিং কলেজ, বনমালীপুর প্রিয়নাথ ইনস্টিটিউশন এবং পূর্ব বারাসাত আদর্শ বিদ্যাপীঠ। এর মধ্যে বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজে বসেছে সর্বাধিক ৭০২ জন পরীক্ষার্থী। কলেজের তিন তলার ২১টি ঘরে পরীক্ষা হচ্ছে। সকাল থেকেই গেটের বাইরে টাঙানো তালিকা দেখে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের নাম খুঁজে নিয়ে প্রবেশ করেন হলে।
দীর্ঘ বিরতির পর ফের শুরু হওয়া এই পরীক্ষা ঘিরে যেমন উৎসাহ ও প্রত্যাশা লক্ষ করা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে, তেমনই কলম বিতর্কে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও দুশ্চিন্তা। যদিও বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পরীক্ষার্থী অনুপম সাহা বলেন, অন্তত আমাদের ব্যবহারের পেনগুলি যদি ভাল করে পরীক্ষা করে নিয়ে ব্যবহার করতে দেওয়া হত তাহলে আমাদের পরীক্ষার দিতে সুবিধা হত। নতুন দেওয়া পেনে ঠিকমতো কালি পড়ছে না। আরেক পরীক্ষার্থী সুস্মিতা পোদ্দার বলেন, ইউস এন্ড ট্রু যে পিন গুলি দেওয়া হচ্ছে সেগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের। নতুন পেনে লেখা কিছুটা হলেও সমস্যা দায়ক। জানিনা কি হবে। সব মিলিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগেই পেন বিতর্কে সরগরম বারাসাত।
রুদ্র নারায়ন রায়