সেক্ষেত্রে রোল নাম্বার ধরে নির্দিষ্ট আসনে না বসলে সমস্যা হতে পারে বলেই অনুমান পর্ষদের আধিকারিকদের। তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলেই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। তবে এক্ষেত্রে কোন পরীক্ষার্থী যদি তার বরাদ্দ হওয়া আসনে না বসেন তাহলে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল পর্যন্ত হয়ে যাবে বলেই পরীক্ষার্থীদের দেওয়া এডমিট কার্ডে উল্লেখ করা থাকছে। এর পাশাপাশি সম্প্রতি মুখ্য সচিব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে টেটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা শাসক, পুলিশ সুপার দের সঙ্গে।
advertisement
আরও পড়ুন: '৫ লাখ টাকা দিলেই আগের রাতে প্রশ্ন,' টেট নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্য সচিব। এবার নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই পরীক্ষার্থীদের এডমিট কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর এই এডমিট কার্ডেও উল্লেখ থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ পরীক্ষার্থীদের জন্য। দু'ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে রিপোর্ট করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করা হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি হবে। যারা বিশেষভাবে অক্ষম পরীক্ষার্থী থাকবেন তাদের অতিরিক্ত ৫০ মিনিট দেওয়া হবে পরীক্ষার জন্য। শুধুমাত্র পরীক্ষার্থীদের এডমিট কার্ড এবং তাদের একটি পরিচয় পত্র নিয়ে আসতে হবে পরীক্ষা কেন্দ্রে। যে সময় সীমা দেওয়া হবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার জন্য তারপরে এলে কোনোভাবেই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনরকম মোবাইল, ফোন, ইয়ারফোন, ক্যামেরা, ঘড়ি,হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে যাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: টেট বানচালের আশঙ্কা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির, সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক কথা
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্রের একটি কপি দিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে যেতে পারবেন না। এডমিট কার্ডে একাধিক নির্দেশ উল্লেখ করা থাকবে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।সম্প্রতি মুখ্য সচিব জেলাশাসক পুলিশ সুপারদের নিয়ে হওয়া বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ে কোন রকম সমস্যা হলে তার দায় থাকবে জেলাশাসকদের উপরেই। এসডিও ও জেলাশাসকদের অফিসে নির্দিষ্ট কন্ট্রোল রুম চালু হবে। যেখানে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা নিয়ে যে কোন অভিযোগ জানাতে পারবেন। এর জন্য বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ ও দিয়েছেন মুখ্য সচিব। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসক ও এসডিও অফিসের কন্ট্রোল রুমের নম্বর আলাদা করে প্রচার করা হবে বলেও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জানানো হয়েছিল। পরীক্ষা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ১৬ দফা গাইডলাইন ও বিভিন্ন জেলাকে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।