TRENDING:

Primary School: এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস না রেলগাড়ি? কী কাণ্ড জানলে চমকে যাবেন!

Last Updated:

Primary School: নিজেদের টাকা খরচা করে পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরানোর অভিনব উদ্যোগ নিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর: আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন বিদ্যালয়মুখী করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনব প্রচেষ্টায় আপ্লুত গ্রামবাসীরা। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি নিজেদের ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করেই বানিয়েছেন আস্ত এক রেল গাড়ির কামরার শ্রেণিকক্ষ। বর্তমানে গ্রামের পাঁচ থেকে দশ বছরের শিশুরা বেলা সারে দশটার পর আর বাড়িতে থাকতে চায় না।
advertisement

তারা বইয়ের ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে চলে আসে চকরাম এডুকেশনাল এক্সপ্রেসের ট্রেনের বগিতে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের খেলার সরঞ্জাম দোলনা, ঢেকি, স্লিপ পেয়ে খুশি খুদে পড়ুয়ারা। আমগাছের ছায়ায় হুটোপুটিতে বোঝা যায় এটা তাদের নিজস্ব বিচরণ ক্ষেত্র। বিদ্যালয়ের ফুল ও সবজি বাগানের পরিচর্যায় খুদেদের উদ্ভাবনার প্রতিযোগিতা যেন “কিছু করে দেখাই”। উল্লেখ্য আদিবাসী অধ্যুষিত বালুরঘাট ব্লকের চকরাম গ্রামের প্রায় আশি শতাংশই তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতির বসবাস।

advertisement

.

আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে ভিস্তাডোম কোচ, দারুণ এই পরিষেবা কোথায়?

গ্রামের মাঝখানে চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা ক্লাসের পর মিড ডে মিলের আগে বিদ্যালয়ের নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেমে গাছের ছায়ায় নাচগানের তালিমে ব্যস্ত।বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা জানালেন, মিড ডে মিলের বিশেষ পুষ্টি যোজনায় ছাত্র ছাত্রীদের মুরগির মাংস ও পোলাওয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান ( বাংলাদেশ) যুদ্ধের বীর শহিদ চুড়কা মুর্মুর স্মৃতিস্তম্ভ জ্বলজ্বল করছে। জানা যায়, সেই যুদ্ধে গ্রামের যুবক চুড়কা ভারতের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনার গুলিতে শহিদ হন। প্রতি বছর অগাস্ট মাসের নির্দিষ্ট দিনে এখানে শহিদ দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

advertisement

আরও পড়ুন: ‘মমতাকে প্রাণে বাঁচিয়ে চাকরি যায়, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মনে রাখলেন কই?’, সিরাজুলের গলায় দু’দশকের চাপা কান্না!

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বলাই প্রামাণিক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছয় জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও একশ কুড়ি জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতির পর বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্র ছাত্রীদের আকর্ষণ ফেরানোর লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের ঘর-সহ বারান্দাকে রঙের প্রলেপে একটি রেল গাড়ির রূপ দেওয়ার পাশাপাশি খেলাধুলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান, সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয় এগিয়ে চলছে। বালুরঘাট ব্লকের মধ্যে ইতিমধ্যে চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।

advertisement

সুস্মিতা গোস্বামী

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
Primary School: এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস না রেলগাড়ি? কী কাণ্ড জানলে চমকে যাবেন!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল