ক্যাম্পাসের পরিবেশ ছিল সম্পূর্ণ পেশাদার। ইন্টারভিউ, গ্রুপ ডিসকাশন এবং এইচআর রাউন্ডের পর মোট ৪৪০ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। তাঁদের নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ এবং উত্তেজনা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, এটি ছিল এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সফল প্লেসমেন্ট ড্রাইভ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ নিয়ে এল বড় আপডেট, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়ারা জানুন
advertisement
২ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত প্যাকেজ, চূড়ান্ত ফলাফল এক সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করা হবে
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট সেলের পরিচালক ড. প্রবীণ ভাই প্যাটেল জানিয়েছেন যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে কোম্পানিগুলি এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ২ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক প্যাকেজ পাবেন। ড. প্যাটেল বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীদের পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রশংসা করেছে কোম্পানিগুলি। এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভবিষ্যতে আরও কোম্পানি CSJM বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবে।”
প্রতি তিন মাস অন্তর জব ফেয়ার
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এখন প্রতি তিন মাস অন্তর জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্যায়ে এই সুযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য উপলব্ধ হবে, পরবর্তী পর্যায়ে এটি অধিভুক্ত ডিগ্রি কলেজগুলিতেও অনুষ্ঠিত হবে। প্লেসমেন্ট সেলের পরিচালক বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় শীঘ্রই কোম্পানিগুলির সহযোগিতায় একটি সেন্টার অফ এক্সেলেন্স প্রতিষ্ঠা করবে। শিক্ষার্থীরা শিল্পের চাহিদার উপর ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ পাবেন। এটি তাঁদের দক্ষতা বিকাশ করবে এবং তাঁদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসংস্থান নীতি সফল হয়েছে
মেগা ড্রাইভের সময় শিক্ষার্থীদের মুখে আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট ছিল। অনেকেই বলেছেন যে, এই সুযোগ তাঁদের কেরিয়ারে একটি নতুন সূচনা করবে। আইটি এবং ব্যাঙ্কিং খাতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের কর্মসংস্থান অর্জনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে। সিএসজেএম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় অর্জন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কেবল শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করা নয়, বরং তাঁদের স্বনির্ভরতার মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করা। এই অভিযান সেই দিকে একটি সফল পদক্ষেপ।”
