রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বলেন,''রাজ্যের কোথাও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ চিটিং, অনলাইনে পরীক্ষা সংক্রান্ত চিটিং কীভাবে হয়, আদালতকে অনুরোধ করছি একবার দেখুন। আইবি ইনপুটও ছিল এ বিষয়ে। নির্দিষ্ট ভাবে রাজ্যের কাছে রয়েছে সেই তথ্য। সেই ইনপুট অনুযায়ী, আগামী ২ সপ্তাহ বেআইনি কার্যকলাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।তাই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।''
advertisement
অ্যাডভোকেট জেনারেলের যুক্তি, বেআইনি কাজ অনেক ধরনের হতে পারে। ভয়েস রেকর্ড করে, মেসেজ করে একাধিক ভাবে তা হতে পারে।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩.১৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট। ৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট বন্ধ থাকছে। ৮ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। দার্জিলিং, বাগডোগরা, বীরভূম ৫ ব্লক, কোচবিহারে ৬ ব্লক, উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের নির্দিষ্ট জায়গাতেই বন্ধ।
রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়, ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হলেও তা যুক্তিসঙ্গত সীমাবদ্ধতা। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় তা বন্ধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'ওঁরাই ঠিক করুন, কী করবেন', স্পষ্ট বার্তা দিলীপ ঘোষের! তুমুল আলোড়ন বিজেপি-তে
এর জন্য কোনও ছাত্র আদালতে এসে বলেনি ইন্টারনেট বন্ধে অসুবিধার কথা। কোনও ব্যবসায়ী এসেও বলেনি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধে ক্ষতি হচ্ছে। আগামীকাল সকাল ১১টায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নিয়ে রিভিউ মিটিং রয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটির। সেই সিদ্ধান্তের উপর আদালত আস্থা রাখুক।
আরও পড়ুন: সাতসকালে দরজার সামনে হঠাৎ ফোঁস-ফোঁস শব্দ, যা দেখা গেল, হাড়হিম দৃশ্য ধূপগুড়িতে!
যদিও আদালত রাজ্যের উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন তোলে, ''রাজ্যের এত আশঙ্কার কারণ কী? কেন ইন্টারনেট পরিষেবা থাকলেই আনলফুল অ্যাক্টিভিটির আশঙ্কা করছে রাজ্য? তখন রাজ্যের তরফে বলা হয়, ''আমাদের কাছে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা রিপোর্ট আছে৷ কিছু জায়গার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট থাকলে বেআইনি কার্যকলাপের আশঙ্কা আছে।'' এই শুনানির পরই মাধ্যমিকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোর মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।