তবে সূত্রের খবর বেশিরভাগ অধ্যক্ষই অফলাইন পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। সবার মতামত নথিভুক্ত করে আগামী ৩ তারিখের একটি বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে (Offline Online Exam)।
আরও পড়ুন: নয়া আতঙ্ক 'Monkeypox', আগাম তৎপরতা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে! নির্দেশিকা জারি..
একদিকে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের ভেতরে যখন বৈঠকে রয়েছেন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ, ঠিক তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন। অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে, এই দাবি সামনে রেখে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি যেহেতু বেশিরভাগ কলেজেরই প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ সিলেবাস এখনও বাকি, তাই তারা কোনোভাবেই অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবেন না। পঠনপাঠন যখন অনলাইনে করা হয়েছে তখন পরীক্ষার বেলা অফলাইন মাধ্যম কেন? প্রশ্ন তুলছেন তারা।
advertisement
দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজের ছাত্র শুভজিৎ সামন্ত আজ এসেছিলেন এই বিক্ষোভে অংশ নিতে। মূলত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা একজোট হয়েছেন বলে জানান শুভজিৎ। তাদের দাবি, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তখন ৫০-৬০ শতাংশ সিলেবাসের উপর নির্ভর করে অফলাইনে পরীক্ষা দিলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সুযোগ তারা পাবেন না।
৩ তারিখে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেইদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই। তবে অধ্যক্ষরা যেহেতু বেশিরভাগই অফলাইন পরীক্ষার দাবি করেছেন তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত সেই দিকে যাবার সম্ভাবনা প্রবল। তবে রাজ্যের সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়তেই প্রায় যেভাবে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার দাবি উঠছে তাতে তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী অনেক পড়ুয়াই।
সাহ্নিক ঘোষ