জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টিহীন। ছোটবেলা থেকে শুনে শুনেই প্রত্যেকটি পরীক্ষা উত্তীর্ণ করেছেন তেহট্টের রাখি। এক বর্ণও না পড়ে শুধুমাত্র শুনে শুনেই এমএ পাস করেছে সে। আর এ বছর সেট (স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট) পাস করে জেলা তথা গোটা রাজ্যে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন তিনি।
advertisement
নদিয়ার তেহট্টের হাউলিয়া মোদের বাসিন্দা রাখি ঘোষ জন্ম থেকেই ১০০% বিশেষভাবে ক্ষমতা সম্পন্ন। কিন্তু তাঁর প্রতিবন্ধকতা কখনই তাঁর স্বপ্নের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে তিনি এবছর সেট পরীক্ষা দেন। আর তাতেই সসম্মানে উত্তীর্ণ হন তিনি। সেটের ফল প্রকাশের পরেই খুশির আমেজ রাখির বাড়ি সহ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। রাখি জানান, "আমার এই সাফল্যের পিছনে স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান সবচেয়ে বেশি। বাবা মায়ের কথা আর নতুন করে কি বলব'!
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূলকে 'ভবিষ্যদ্বাণী' খোঁচা শুভেন্দুর! সোশ্যাল মিডিয়ায় যা লিখলেন...
দারিদ্রতা নিত্যদিনের সঙ্গী রাখিদের পরিবারে। বাবা দয়াল ঘোষ মাঠে চাষাবাদ করেন। মা মিনতি ঘোষ বাড়িতেই কাজকর্ম করে থাকেন। পরিবারে রাখির দুই দাদা ও তাদের স্ত্রীরাও রয়েছেন। রাখির মা মিনতি দেবী বলেন, "ছোট থেকেই লেখাপড়ায় আগ্রহ মেয়ের। আমি কারও কথায় কান না দিয়ে মেয়েকে লেখাপড়া করিয়েছি। এবার যদি কলেজে চাকরিটা পায় আরও খুশি হব।" প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে নিজের ইচ্ছের জোড়ে জেলার পাশাপাশি গোটা রাজ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তেহট্টের রাখি ঘোষ। ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্ম তাঁকে দেখে যে অনুপ্রাণিত হবেন তা বলাই বাহুল্য।
মৈনাক দেবনাথ