তাই সব পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই সংসদের পক্ষ থেকে এমনটা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে স্কুলগুলিকে। তবে শুধু যদি কোনও জরুরী কারণ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের অনুমতিতে ছুটি নিতে পারবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এই নির্দেশিকা জারি করার পাশাপাশি সংসদ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন বন্ধ করার নির্দেশিকাও জারি করেছে।
advertisement
অর্থাৎ যেহেতু প্রথম ধাপে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং দ্বিতীয় ধাপে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা থাকবে, তাই স্কুলগুলি আপাতত বাকি ক্লাসগুলি সাসপেন্ড রাখবে বলেই নির্দেশিকা দিয়েছে সংসদ। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিতে নজরদারির জন্য শিক্ষক শিক্ষিকার ঘাটতি হবে না তো? সেই বিষয় নিয়েই পর্যালোচনা শুরু করেছে সংসদ।
আরও পড়ুন: সামনেই মন্ত্রিসভার বৈঠক, আবারও বাড়বে ডিএ? হাতে কত টাকা আসবে, হিসেবটা বুঝে নিন
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! ভারতের ৯ জায়গায় মিলল সোনার খনির খোঁজ, জেনে নিন কোথায় এই সুবর্ণ ভাণ্ডার..
যদি কোনও স্কুলে ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে পার্শ্ববর্তী স্কুল থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে আসা যেতে পারে বলেই জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিতে চলেছে সংসদ বলেই জানা গিয়েছে। অন্য দিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কীভাবে পরিচালনা হবে তার জন্য কয়েক দফা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র গুলিকে। স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করা হবে। রাজ্যজুড়ে ২০০টিরও বেশি স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি কোন স্কুলের পরীক্ষার্থীরা যদি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, তা হলে সেই স্কুলের অনুমোদন পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংসদ।
যদিও এবারের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কোন রকম ইন্টারনেট বন্ধ করতে রাজি নয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভেনু সুপারভাইজার থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি আধিকারিকদের কী দায়িত্ব থাকবে সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সংসদের তরফে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের। সবমিলিয়ে এ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রত্যেকটি কেন্দ্রে যাতে পর্যাপ্ত থাকে সে বিষয়েও বিশেষভাবে সতর্ক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়।
