ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর প্রতিটি পদক্ষেপে এসেছে বাধা। কখনও আর্থিক, আবার কখনও সাংসারিক অনটন। তবু লড়াইয়ের ময়দান থেকে ছেড়ে যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের নীলিমা দোলাই। এ বারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম হয়েছে এই পড়ুয়া। গ্রামের মধ্যে সামান্য মাটির বাড়ি। এক কামরার মাটির বাড়িতে দাদু-ঠাকুমা মাকে নিয়ে সংসার তাঁর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আজ কিছুক্ষণেই ফের প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলায় জেলায়, কোথায় কত বৃষ্টি হবে? জানুন পূর্বাভাস
আরও পড়ুনঃ নেটদুনিয়ায় হেনস্থার শিকার উচ্চ মাধ্যমিক চতুর্থ প্রেরণা, কেন ঘটল এমন ঘটনা? জানুন
দিদির বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বাড়িতেই বাচ্চাদের টিউশন পড়িয়ে নিজেই চালায় পড়াশোনার খরচ। সামান্য জমিতে চাষাবাদ এবং মায়ের সেলাইয়ের উপর নির্ভর করে চলে সংসার। লোডশেডিং হলে কেরোসিন বাতির আলোয় পড়াশুনা করেছে। নিজের পড়া, তারপর পড়ানো, স্কুল সব মিলিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল নম্বর পেয়েছে সে।
বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাশ করতে চায় নীলিমা। ভবিষ্যতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার অর্থই এখন মূল অন্তরায়। মেয়ের সাফল্যে খুশি মা-ও। তবে মায়ের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। পরবর্তীতে পড়াশোনা কি হবে, তা নিয়ে চিন্তায় নীলিমার পরিবার।
Ranjan Chanda





