জানা গিয়েছে, আহমেদ হাসান আনসারির বাবা মৈবুল ভিন রাজ্য উড়িষ্যায় পরিযায়ী হিসাবে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। ছেলেকে ডাক্তার করার ব্রত নিয়েছিলেন। ছেলে মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে ছিল সেই সময়ে। দিন রাত এক করে ছেলেকে ডাক্তার করার জন্য তিনি পড়ে থেকেছেন ভিন রাজ্যে।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! শনির বিরাট চালে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৩ রাশির, উপচে পড়বে টাকা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, দিনে দ্বিগুণ রাতে চারগুণ উন্নতি! খুলবে পোড়া কপাল
advertisement
চার ভাইবোনের মধ্যে আহামেদ হাসান সবার বড়। সামান্য অর্থ উপার্জনে চলা সংসারে অনেক প্রতিকূলতা ছিল। কিন্তু সেই কষ্ট কখনও লাজুক ছেলে আহামেদ হাসানের লক্ষ্যকে বিঘ্নিত না ঘটে তা জানতে দেননি মা চাইনা বিবিও। বাবা, মা ও দাদু দিদিমাদের অদম্য ইচ্ছেকে বাস্তবে পরিণত করতে নিজেকে প্রস্তুত করে আহামেদ হাসান আনসারি। সেই সব তার প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর শক্তি বাড়ছে গ্রহরাজ সূর্যের…! এক ইশারায় কাঁপবে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড! ৫ রাশির কপালে ‘জ্যাকপট’, ভাসবেন টাকার সাগরে, যা ছোঁবেন তাই সোনা
আহামেদ হাসান জানায়, ‘মা বাবা আমাকে কখনও দারিদ্রতা কি জিনিস তা টের পেতে দেয়নি। কিন্তু আমি জানতাম, কী পরিমাণ কষ্ট করছে মা, বাবা আমার জন্য।’ তাদের কষ্টকে আমি বিফল হতে দেব না। আমি ডাক্তার হব, এমন পণ করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি।প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোচিং নেওয়া তার সঙ্গে খেলাধুলো চলেছে সমানে । নিজের একাগ্রতা আর পরিবারের ত্যাগ—এই দুইকে সঙ্গে নিয়ে নিট পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছ অজপাড়া গাঁয়ের ফেরিওয়ালার ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি ।
কৌশিক অধিকারী